আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চিকিৎসকের ভুলে দৃষ্টিশক্তি হারালো তরুণ এমন অভিযোগ উঠেছে পরিবারের পক্ষ থেকে। যদিও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগটি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চোখে মারাত্মকভাবে সংক্রমণ হওয়াতে চোখ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, না হলে সংক্রমণ মাথাতেও ছড়িয়ে যেতে পারতো। পরিবারের সম্মতিক্রমেই ওই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরে। দৃষ্টিশক্তি হারানো ওই যুবকের নাম রাজা নস্কর (২৩)। গত সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার আঞ্চলিক চক্ষু গবেষণা কেন্দ্রে (আরআইও) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সেখানকার চিকিৎসকদের মতে, ওই তরুণের ডান চোখের সংক্রমণটি এত মারাত্মক ছিল যে অন্য চোখের সুরক্ষার জন্য চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে সেটির অস্ত্রোপচার করে বাদ দেন। কলকাতা আরআইওর নির্দেশক অসীম কুমার ঘোষ বলেছেন, সংক্রমণ রোধের জন্যে চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। জানা গেছে, একটি ছাপাখানায় কাজ করার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে, যার ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই তরুণের ডান চোখের কর্নিয়া।
রাজা নস্করের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন চিকিৎসাকেন্দ্রের আলট্রাসোনোগ্রাফি (ইউজিসি) বিভাগটি সেদিন বন্ধ ছিল এবং চিকিৎসকরা তাঁদের পরের দিন আসতে বলেন। আমরা পরের দিন (মঙ্গলবার) ওঁকে নিয়ে আরআইওতে যাই এবং ইউএসজি করা হয়। আমরা চিকিৎসকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু অস্ত্রোপচার করা হয় বুধবার।’
ওই তরুণের বাবা বলেন, ‘আরআইও-তে চিকিৎসকদের অবহেলাই এই ঘটনার জন্যে দায়ী । তাঁরা অস্ত্রোপচারে দেরি করেছিল এবং সেই কারণেই আমার ছেলেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হলো।’ তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার কথা জানিয়ে ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে চিকিৎসকরা জানান যুবকের চোখের কর্নিয়াটি ফেটে যায় এবং রেটিনার কারণে চোখের যে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আন্দাজ করতে পারিনি। এদিকে রাতের বেলা এই ধরনের সার্জারি করাও যায় না। সেজন্যই আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার দরকার পড়ে।
ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের আরো এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ শনিবার বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা চোট থেকে চোখে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ আটকাতে সব রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেন এবং তরুণের চোখের ভিতরে থাকা পেরেকের ভাঙা টুকরোটি সনাক্ত করার জন্য ইউএসজির পরামর্শ দেন।’
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।