জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবলীগকর্মীর মারধরের পর আব্দুল করিম ঢালী ওরফে টুনু ঢালী (৭০) নামের এক মুদিদোকানির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সনেট হালদার ও তার সহযোগীরা পলাতক।
রবিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুনু ঢালী একই এলাকার মৃত জয়নাল ঢালীর ছেলে ও স্থানীয় ধলাগাঁও বাজারের মুদিদোকানি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করিম ঢালীর দোকান থেকে বাকিতে সংসারের জিনিসপত্র কেনেন প্রতিবেশী মোশারফ হালদার। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। রোববার বিকেল ৩টার দিকে পাওনা টাকার জন্য মোশারফের বাড়িতে গিয়ে তাগাদা দেন করিম ঢালী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ, তার ভাতিজা যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সনেট হালদার গং তাদের বাড়ির ভেতরেই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কিল-ঘুসি মেরে আহত করেন। গুরুতর অবস্থায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজ বাড়িতে আসার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
নিহতের ছেলে আবদুল কাদের ঢালী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী সনেট, তার চাচা মোশারফসহ ৩-৪ জন মিলে তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সনেট হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।