সাধারণত বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাণ বেশি থাকে, যার ফলে চুলের ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। আর এতে করে একটু টান পড়লেই চুল ছিঁড়ে যায়। আবার বর্ষাকাল চলে গেলেই আবার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সারা বছর যাদের চুল পড়ে, এর পেছনে কী কারণ দায়ী?
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে একটু বেশি চুল পড়ে। কিন্তু কিছু নারী সারা বছর চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। তাদের অনেকের চুল ঝরে পাতলা হয়ে গেছে, টাক পড়ে গেছে।
নারীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা খুব কমন সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকবে এবং দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। আর এর জেরে চুল উঠতে থাকে।
চুলের যত্নে কেবল শ্যাম্পু ও তেলই যথেষ্ট নয়, সঠিক খাবারও খাওয়ার দরকার। অনেক সময় দেখা যায় যে, দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই কারণে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় না, আর এতেই চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। থাইরয়েড হরমোন দেহে একাধিক মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তার প্রভাব চুলেও পড়ে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু থাইরয়েড।
আজকাল বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েরা পিসিওডি বা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছে। তবে, ওভারিতে সিস্ট থাকার কারণে চুল পড়ে না। এই অবস্থায় দেহে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন চুল ওঠে, ত্বকের রোমের আধিক্য বাড়ে ও ব্রণ হয়।
গর্ভাবস্থায় দেহে নানা রকম পরিবর্তন হয়। আবার প্রসবের পরও শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় অনেক নারীরাই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এমনকি মেনোপজের সময়ও অনেক মহিলা চুল পড়ার অভিযোগ করেন।
নারীদের মধ্যে ঘুমের পরিমাণ কম। অথচ, নারীদেরই পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমানো উচিত। ঘুম কম হওয়ার কারণে জীবনে অত্যধিক পরিমাণে মানসিক চাপ বাড়লে দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটে। তখনও চুল ওঠে।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।