লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে যেসব খনিজ উপাদান প্রয়োজন তার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম অন্যতম। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। ম্যাগনেসিয়াম মৌসুমিজনিত প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে, মাংসপেশির কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব ঘটলে পেশি ও স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে, আবার রক্তচাপ ও বিপাক ক্রিয়ার নানা কার্যক্রম ঠিক রাখতেও সমস্যা হতে পারে।
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণে অনেকে নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। তবে এমন কিছু খাবার আছে যে গুলি থেকে ম্যাগনসিয়াম পাওয়া যায়। যেমন-
গাঢ় রঙের পাতাযুক্ত শাক
গাঢ় রঙের পাতাযুক্ত শাক ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিনের ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সিদ্ধ করে বা সালাদ হিসেবে শাক রাখতে পারেন। পালং শাকে সবচেয়ে বেশি ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া বাঁধাকপি, পাতাকপিও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ম্যাগনেসিয়ামের আরেকটি উৎস। একটি মাঝারি আকৃতির অ্যাভোকাডোতে ৫৮ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। স্মুদি বানিয়ে কিংবা ফলের সালাদ তৈরি করে এ ফলটি খেতে পারেন।
বাদাম ও বীজ
দিনে এক কাপ পরিমাণে কুমড়ার বীজ খেলে তা দিনের ম্যাগসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। কুমড়ার বীজ ছাড়াও সূর্যমুখীর বীজে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া কাজুবাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, পেস্তা বাদাম ও প্রায় ধরনের বাদামেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
সামুদ্রিক মাছ
ম্যাগসেয়িামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ যেমন- টুনা, সার্ডিন, ম্যাকেরেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে একদিন অন্তত এই মাছগুলো খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। এক টুকরা বর্গাকৃতির ডার্ক চকোলেট খেলে ৯৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। তবে খুব বেশি পরিমাণে এই চকলেট একবারে খাওয়া ঠিক নয়।
তথ্যসূত্র: হেলিদবিল্ডার্জড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।