জুমবাংলা ডেস্ক : সদ্য প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এক ঘটনাবহুল জীবনের অধিকারী ছিলেন। সংসদের বিরোধীদলীয় এই নেতা ১৪ জুলাই ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অনেক আলোচনা-সমালোচনা পেরিয়ে এরশাদের রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটে। জনগণ তাকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নামে চিনলেও পরিবারের সদস্যদের কাছে তিনি অন্য নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন, নিকটাত্মীয়রা তাঁকে ‘পেয়ারা’ নামে ডাকতেন।
এরশাদের ভাই জি এম কাদের জানান, চার ভাই-পাঁচ বোনের মধ্যে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ছিলেন মেজো। সবার বড় বোনের নাম ছিল পেয়ারী। সেই নামের সাথে মিলিয়ে এরশাদের পরিবারিক নাম ছিল পেয়ারা। এটি তাঁর ডাকনাম।
কাদের আরও জানান, বাবা মকবুল হোসেন পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তিনি বাড়ি করেছিলেন কুচবিহারের দিনহাটায়। মা মজিরা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। সে কারণে কুচবিহারের দিনহাটাতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তাদের এক ভাই এবং দুই বোন আগেই মারা গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির নেত্রী। গত সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এছাড়া ২০০০ সালে এরশাদ ফ্যাশন ডিজাইনার বিদিশা ইসলামকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর তিনি ‘বিদিশা এরশাদ’ নামে পরিচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।