দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি জার্মানির মিউনিখে বেড়ে উঠছিলেন। তিনি তার বাড়ির সামনের দেয়ালে ফুটবল দিয়ে লাথি মেরে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দিতেন। তিনি মনে করতেন যে, দেয়াল ছিল তার বিশ্বস্ত বন্ধুর মত। ভালো পাস দিতে পারলে তা দেয়ালে লেগে আবার ফিরে আসে। সেটার জন্য দৌঁড়ানোর দরকার হয় না।
ফুটবলার Franz Beckenbauer ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল ছিলেন। তাকে অনেকে বেপরোয়া ফুটবলার হিসেবে জানতো। একটি ম্যাচে তাকে বারবার ফাউল করা হলে তিনি সেটা নিয়ে অভিযোগ করলেন। সেই অভিযোগের ফলাফল হিসেবে তাকে থাপ্পর মারা হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর ফুটবলের ইতিহাস বেশ বদলে যায়। একটা সময় পর তিনি বার্য়ান মিউনিখ ক্লাবে যোগদান করেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পর দলটির বুন্দেস লীগায় খেলার সুযোগ পায়। তার অনবদ্য পারফর্মন্যান্সের ফসল হিসেবে বার্য়ান মিউনিখ বিএফবি পোকাল কাপ এবং উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জেতে।
জার্মান কোচ তাকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলাতে পছন্দ করতেন। লেট রান নিয়ে গোল করার দক্ষতা তার মধ্যে ছিল। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে তিনি চারটি গোল করেছিলেন। অনেক চেষ্টা পর ১৯৭৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হন তিনি।
Franz Beckenbauer এর পশ্চিম জার্মানির কাছে অন্য দলগুলোর টোটাল ফুটবল একেবারেই পরাজিত হয়েছিল। ৭৪, ৭৫, ৭৬ সালে ইউরোপিয়ান কাপের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে তিনি ইউরো জিততেও সক্ষম হন।
ওই সময় তাকে জার্মান ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলা হতো। তিনি একই সাথে পপস্টার হিসেবে টিভির সামনে আসেন। গান গাইতে পারতেন এবং মডেলিং করতেন। তিনি সবসময় মাঠের নির্দিষ্ট জায়গায় খেলতেন না। স্বাধীনভাবে মাঠে ঘুরে বেড়াতে পারতেন।
তিনি একই সাথে ’কায়সার দা এম্পিয়ার’ হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছেন। জার্মান দলের ফুটবল কোচ এবং ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে তিনি চমৎকার দায়িত্ব পালন করেছেন। জার্মান ফুটবল তার কাছে সবসময় ঋণী হয়ে থাকবে। কেননা তিনি জার্মানদের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল ব্যক্তিত্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।