এমন একটি দেশ যেখানে- সৃষ্টিকর্তার বানানো এই দুনিয়ায় এত আজব জিনিস আছে যে তা জানার জন্য আমাদের বহু জন্ম নিতে হবে। ধন্যবাদ ইন্টারনেটকে, যার মাধমে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার খবর জানতে পারি।
আজই আমি ইন্টারনেটে একটা আজব গ্রামের ব্যপারে জানলাম। এখানে প্রত্যেকের বাড়ির বাইরে লিঙ্গঁ অঙ্কিত থাকে, এমনকি কোন দম্পতি যদি সাধুর কাছে আশীর্বাদ নিতে যায় তাহলে সাধুবাবা তাদের মেয়েদের লিঙ্গঁ আশীর্বাদ স্বরূপ দেন।
এটা ঘটে থাকে ভূটানের থিম্পু শহরে অবস্থিত একটি গ্রাম পুনাখায়। আসুন দেখি সেই গ্রামের কিছু ছবি আর জানি এমন কেন করা হয় ।
পেনিস আর্ট –
এমন একটি দেশ যেখানে সব বাড়ির বাইরে দেখতে পাওয়া যায় পু.রুষাঙ্গের ছবি ও মূর্তি, কিন্তু কেন?
ভূটানে পেনিস আর্টের সূচনা ১৫ শতাব্দীতে শুরু হয়েছিল । আপনার জেনে আশ্চর্য লাগবে যে এক তিব্বতীয় গুরু দ্রুক্পা ফুন করেছিলেন ।
এই ধরনের মঠ তৈরি করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় –
এমন একটি দেশ যেখানে সব বাড়ির বাইরে দেখতে পাওয়া যায় পুরু.ষাঙ্গের ছবি ও মূর্তি, কিন্তু কেন?
গুরু বলেছিলেন যে ভূটানে যাওয়ার পর হাওয়ায় তীর চালালে যেখানে তীর লাগবে সেখানেই তিনি মঠ বানাবেন। যেখানে তীর লেগেছিল সেখানে পেলসগ বুটি নামে এক মেয়ের ঘর ছিল।
যৌ.ন সম্বন্ধ –
মেয়েটিকে দেখেই তার রুপে মোহিত হয়ে সাধু তার প্রেমে পড়ে যায় আর তার সাথে যৌ.ন সম্পর্ক স্থাপন করেন।
গর্ভবতী হয়েছিল মেয়েটি –
গুরুর সাথে যৌ.ন সম্পর্ক স্থাপন করার পর মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পরে সেইদিন ই আর সাধু ও সেদিন থেকে ওখানেই থাকতে শুরু করে।
উর্বরতা মঠ –
ওখানে লিঙ্গের মতন দেখতে একটা মেয়ের মূর্তি বানানো হল আর উর্বরতা মঠ নাম দেওয়া হল।
কামুকতায় ডুবে গিয়েছিল দ্রুক্পা –
এই ঘটনার পর দ্রুক্পা কে প্রজনন সাধু আর উর্বরতা সাধু বলা হতে লাগলো। তিনি সারাদিন মদ আর যৌ.ন সম্পর্কে লিপ্ত থাকতেন।
বিবাদাস্পদ কথা –
এই সময় উর্বরতা গুরুর কিছু কথা বিবাদ পূর্ণ ছিল। উনি বলতেন জীবনের আনন্দ মদ আর মেয়ে মানুষের নাভির নিচেই থাকে।
দ্রুক্পা এই শিক্ষা দিয়েছিলেন –
গুরু দ্রুক্পা তার শিষ্যদের সাংসারিক জীবন ছেড়ে আধ্যাত্মিক জীবনে মন দিতে বলেন আর যৌ.ন সম্পর্ক স্থাপন করতে বলেন।
এইরকম আশীর্বাদ –
জানা গেছে যে দ্রুক্পা তার আশীর্বাদ স্বরূপ শিষ্যদের সাথে যৌ.ন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। আর ঐ কারনেই পেনিস আর্ট শুরু হয়। এই আর্টকে ফুলাস পেন্টিং বলে।
মেয়েদের লিঙ্গ –
যখন কোন নিঃসন্তান দম্পতি ঐ মঠে আসে তাকে ঐ মঠের ভিক্ষু মেয়েদের লিঙ্গ দেন আশীর্বাদ স্বরুপ।
লাখো লোকের সমাগম হয় –
সন্তান প্রাপ্তির জন্য প্রতি বছর বহু লোক আসেন।
এর উপকার –
মানা হয় যে লিঙ্গের পেন্টিং আর প্রতিমা বাজে আত্মা আর বাজে চিন্তাধারা থেকে দূরে রাখে।
লিঙ্গের আকারের সিঁড়ি –
এক প্রথা অনুসারে এক সমদায়ের মানুষ লিঙ্গকে আকারের সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন।
ভগবান থেকে পাওয়া যায় আশীর্বাদ –
এক প্রথা অনুসারে দড়ি ধরে নিচে গেলে ভগবান সুখ সমৃদ্ধি দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।