আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ের জয়মাখালির এক তরুণীর। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১ ডিসেম্বর। সেই মতো শুরু হয় বিয়ের সকল আয়োজন। রবিবার সকাল থেকেই জমজমাট কনের বাড়ি। সকাল থেকেই লোকের সমাগম। চলছিল রান্নাবান্না। সেজে উঠেছিল বিয়ের মণ্ডপ।
এদিকে, সময় মতো বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে যায় পাত্রপক্ষ। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। হঠাৎই চিৎকার শুরু করে পাত্রপক্ষ। পাত্রীপক্ষের কোনো কথাই শুনতে রাজি হননি তারা। রাগের বশে বিয়েবাড়ির চেয়ার টেবিল ভাঙচুর শুরু করে পাত্রপক্ষ। লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় পাত্রীকে। মারধর করা হয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে কনের বাড়ির সদস্যরা। এরপরই কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। সুযোগ বুঝে পাত্রপক্ষকে একটি ঘরে আটকে ফেলে কনেপক্ষ। খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। গভীর রাতে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরে পাত্রপক্ষ। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল বিয়ে বাড়িতে?
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, পাত্রীপক্ষের কাছে নগদ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল পাত্রপক্ষ। কিন্তু কোনো কারণে সেই টাকা দিতে পারেনি তারা। সেই সঙ্গে বিয়েবাড়ির খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন নিয়েও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর এতেই ক্ষোভে ফুটতে শুরু করে পাত্রপক্ষ। এই নিয়েই শুরু হয় অশান্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।