রংপুর প্রতিনিধি: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু।
দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিনের কাছে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। ফলে এ আসনে এবারও জোটগতভাবে উপনির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির প্রার্থী রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদের পক্ষে কাজ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
এর আগে ৪টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যাওয়ার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের বাঁধার মুখে পড়েন রাজু। এসময় নেতাকর্মীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনের সড়কে শুয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানান। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা অবরোধের পর নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যান রাজু।
সাড়ে ৪টায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল, প্রচার সম্পাদক রোজী রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লতিফা শওকত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেনসহ জেলা, মহানগর আওয়ামী লীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৫ অক্টোবরের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি, বিএনপি, স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ ওরফে সাদ এরশাদ, বিএনপি থেকে রিটা রহমান, খেলাফত মজলিস থেকে তৌহিদুর রহমান মন্ডল, গণফ্রন্ট থেকে কাজী শহিদুল্লাহ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে শফিউল আলম ।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির রংপুর জেলার সাবেক সদস্য সচিব ও জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এবং এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনেপ্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এবারও ইভিএমে ভোট হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।