জুমবাংলা ডেস্ক : রং নাম্বারে পরিচয়, পরিচয়ের এক পর্যায়ে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি জানতে পেরে গৃহবধুকে তালাক দেয় তার স্বামী। তালাক দেয়ার পর গৃহবধু তার নানার বাড়িতে আশ্রয় নিলেও চলতে থাকে তাদের প্রেম। এদিকে বিয়ের প্রলোভনে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিক রতন মিয়া। ধর্ষণের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কৌশলে পালিয়ে যেতে চাইলে রতন মিয়াকে ঝাপটে ধরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে রতন মিয়াকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) এমন ঘটনাই ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। ধর্ষক রতন মিয়া (২৪) ওই গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে গৃহবধু বাদী হয়ে রতন মিয়াকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) ওই গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল করেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক রতন মিয়াকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলে বলেও জানিয়েছে পুলিশ
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে গৃহবধুর নাম্বারে। সেই সুত্র ধরেই তাদের তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে স্বামী জেনে ফেলে এবং তাকে তালাক দেয়। এর পর থেকেই ওই গৃহবধু তার নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বিয়ে করার কথা বলে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে রতন মিয়া।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ওই গৃহবধুকে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ শেষে কৌশলে পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী আটক থানায় খবর দিলে রতন মিয়াকে আটক থানায় আনা হয়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী মামলা রতনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর আজ ওই গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল করেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক রতন মিয়াকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।