জুমবাংলা ডেস্ক : অনলাইনভিত্তিক পণ্য কেনার ওয়েবসাইট রকমারি ডটকমের বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চার লেখক। ফিকশন, নন-ফিকশন, ধর্মীয় এবং ক্যারিয়ার ও একাডেমিক—এ চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকরা হলেন যথাক্রমে ইলমা বেহরোজ, মুহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন, শায়খ আহমাদুল্লাহ ও এস কে শামিউর রহমান।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের পুরস্কৃত করতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ২১টি ক্যাটাগরির ২১ জন লেখক ও ২১টি বইকেও সম্মাননা জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইল (সারাদেশ) বইয়ে বইয়ে সয়লাব করব। মানুষের কাছে বই পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি বলছি না বই বিক্রি করে টাকা উৎপাদন করার কথা। অন্য কিছু বিক্রি করে আরও বেশি টাকা কামানো যেতে পারে। আমি বলতে চাচ্ছি বই বিক্রির গুরুত্বের বিষয়। বই বিক্রি ছড়িয়ে দিতে চাইলে টাকার একটি বিষয় চলে আসে। বই লেখার মাধ্যমে আমি যে অসাধারণ ভ্যালু তৈরি করলাম সেটার জন্য মেকানিজম বা পরিকল্পনা প্রয়োজন। বই বিক্রির মেকানিজম তৈরি করা প্রকাশক ও লেখকদের অন্যতম কাজ। এটা আসলে সবার কাজ। প্রকাশক, লেখক ও রকমারির কাজ।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ আরও বলেন, আমরা বইয়ের সঙ্গে টুলস (অন্য কিছু) বিক্রি করি। বইটাকে সেন্টারে রেখে এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালাতে চাই। একটা সমাজ যদি জ্ঞানভিত্তিক হয়, সেই সমাজের কাছে সুন্দর কিছু আশা করতে পারি। বাংলাদেশ যে ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গেল বা যাবে; আমরা যদি আমাদের না জানি বা আমাদের উপলব্ধি বা চিন্তায় মননশীলতা না থাকে, তাহলে বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা থমকে থাকবে। আমাদেরকে প্রত্যেকটা ডাইমেনশনে যোগ্য হতে হবে। আশা করছি আমরা সবাই মিলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবো।
রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান বলেন, প্রকাশকরা একসময় আমাদের নিয়ে হাসতেন। এখন তারা আমাদের বন্ধু মনে করেন। আমরা শুরু থেকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাইরেও ৩০টি দেশে আমরা এখন বই পাঠাচ্ছি। এতদিন মনে করা হতো যে রকমারি একটা প্ল্যাটফর্ম যারা বই ডেলিভারি করি; তবে আগামীতে আমরা উদ্যোক্তা প্রকাশকদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আগামীতে আমরা ই-বুক, অডিও বুক আনতে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা গ্রামের বইবন্ধু ও সমাজসেবক জিয়াউল হক বলেন, ১৯৫৫ সালে আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তাম। টাকার অভাবে আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পড়ালেখা ছেড়ে বাবার দইয়ের ব্যবসা শুরু করলাম। পরে এই টাকা থেকে বই কিনলাম পড়ালেখা থেকে ঝরে যাওয়া ছেলেদের জন্য। আমি ১২ হাজার ছেলেকে শিক্ষিত করেছি। কেউ হয়েছে ডাক্তার-পুলিশ, আবার কেউ হয়েছে আনসার-শিক্ষক।
তিনি বলেন, আমার গোলায় নেই ধান। ব্যাংকে নেই টাকা। তবু পড়ালেখা করিয়ে যেতে চাই। তৈরি করতে চাই নান্দনিক জিয়াউল হক পাঠাগার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রকমারি ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল আনাম রনি, পরিচালক জুবায়ের বিন আমিন, এহতেশামুল শামস রাকিব ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হাসান লিটন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।