স্পোর্টস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিপাক্ষীক সিরিজ কমিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যাচ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রী।
আইসিসির নতুন সূচি অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে। তাতে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজও বেড়ে যাচ্ছে। বছরে আড়াই মাসের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটাররা চাপ অনুভব করছেন। গত সোমবার ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে ৩১ বছর বয়সে অবসর নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিশ^কাপ জয়ী অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
অবসরের কারন হিসেবে স্টোকস জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে শারীরিক ও মানসিক ধকল কাটাতে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় দিচ্ছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষীক সিরিজ বাতিল করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। কারন ঘরোয়া নতুন টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার যাতে তাদের খেলোয়াড়রা অংশ নিতে পারে। বাতিল হওয়া সিরিজটি বিশ^কাপ সুপার লিগের অংশ। বাতিল হওয়ায় গাণিতিক হিসেব-নিকাশে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ^কাপে সরাসরি খেলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। তারপরও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিকে প্রাধান্য দিয়েছে প্রোটিয়ারা।
ভারতের শাস্ত্রীও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে। টেলিগ্রাফের স্পোটর্স পোডকাস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সংখ্যা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট হচ্ছে, সেসবকে উৎসাহি করা যেতে পারে। সেটা যে দেশই হোক না কেন- ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা পাকিস্তান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি কম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেন এবং তবে বিশ্বকাপে সবার সাথে একত্রিত হতে পারবেন। এভাবে আইসিসির আসরগুলোতে আরও জোর দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি গুরুত্ব বাড়বে টুর্নামেন্টগুলোর। তাহলে এই টুর্নামেন্টগুলো দেখতে লোকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে।’
বড় ফরম্যাটের ক্রিকেটকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে দুই স্তরের টেস্ট সেট আপ করার পরামর্শও দিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি দুই স্তর প্রয়োজন। নয়তো ১০ বছরের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে।’
শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনার শীর্ষ ছয়টি দল প্রয়োজন এবং এরপর দ্বিতীয় ধাপে ছয়টি দল এবং পরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। সেই শীর্ষ ছয়টি দল একে অপরের বিপক্ষে প্রায়ই খেলবে, কারন দ্বিপাক্ষীক টি-টোয়েন্টি কমে যাওয়ায়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা যাবে। এভাবেই ক্রিকেটের সব ফরম্যাটকে টিকিয়ে রাখা যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।