জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর রমনা পার্কের লেকে চার-পাঁচজন লোকের একটি দল বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে। সেখানে পানি থেকে তোলা হয় ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ। দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক লোকগুলো হাতে তালি দিচ্ছিলেন। নেটে মাছ রেখে লোকটি আবারো পানিতে বড়শি ফেলার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, রমনা পার্কের লেকজুড়ে প্রায় ৫০টি দলে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মাছ ধরছেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মাছ ধরতে আসছেন এখানে। শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধের দিন হওয়ায় এদিনে মাছ ধরতে সুযোগ দিচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর নয়াবাজার থেকে মাছ ধরতে এসেছেন মিলন হোসেন। তিনি বলেন, আমরা মাঝে মাঝে বড়শি দিয়ে মাছ ধরি। তবে রমনার লেক বা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় কম আসি। আমরা চেষ্টা করি বিল, হাওড়, নদী বা খামার এলাকায় যেতে। সেখানে ভালো মাছ পাওয়া যায়।
রুবেল নামে একজন বলেন, মাছ ধরতে আসার আগে টিকিট কাটতে হয়। এক টিকিটের দাম ৩ হাজার টাকা। শুক্রবার হওয়ায় কোনো কাজ নেই তাই শখ করে মাছ ধরতে আসছি। এক টিকিটে কেউ একটা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পারে। আবার কেউ একাধিক বড়শি দিয়েও মাছ ধরতে পারে।
বিল্লালও শখ করে পার্কে মাছ ধরতে এসেছেন। তিনি বলেন, মাছ ধরতে আসার পেছনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩ হাজার টাকা টিকিট আর মাছ ধরার জন্য মাছের খাবার ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে হয়েছে। এমনও হতে পারে, এক টাকার মাছও পাইনি। অধিকাংশ সময় যে টাকা খরচ করে মাছ ধরতে যান, সে টাকার মাছ পাওয়া যায় না। তবে কিছু মাছ পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার যে টাকা খরচ করেন তার থেকে অনেক বেশি টাকার মাছ পান। আসলে কেউ তো টাকার চিন্তা করে মাছ ধরতে আসেন না। সাধারণত মানুষ শখের বসে মাছ ধরতে আসেন।
রমনা পার্কের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. শামসুল ইসলাম বলেন, এক টিকিট দিয়ে ৩টা বড়শি অনুমোদন দেয়া হয়। আজকের (শুক্রবার) জন্য ২৫টার মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। এক টিকিটে মূল্য ৩ হাজার টাকা নেয়া হয়। এ টাকা সরকারি কোষাগার জমা দেয়া হয়।
তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার যে কেউ চাইলে মাছ ধরতে পারবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মানুষের মাছ ধরার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।