জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইতোমধ্যে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া। সকল পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কসাইয়ের দোকানেও।
গরুর মাংস ৭২০ টাকা থেকে বেড়ে কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (১১ মার্চ) মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও পীরেরবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছে। একই সঙ্গে বাড়তি দামও নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তাদের মতে রমজানের কারণে হাটে গরুর দাম বেড়ে গেছে। ফলে মাংসও বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় মাংসবিক্রেতা নয়ন বলেন, এমনি সময় আমরা ৭২০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করি। আজ ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছি। রমজানকে কেন্দ্র করে হাটে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও একটু বাড়তি দামে বিক্রি করছি।
এর চেয়ে কমে মাংস বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আমাদের দেশে রমজান এলেই সবকিছুই দাম বেড়ে যায় এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি বলে জানালেন মিরপুরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা শওকত আলী।
তিনি বলেন, মাঝে মাংসের দাম কিছুটা কমলেও শবে বরাতের আগে থেকেই মাংস ৭৫০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। এখানের সিন্ডিকেট রয়েছে, কোনো দোকানদার চাইলেও দাম কমিয়ে বিক্রি করতে পারে না।
মাংসের দাম নির্ধারণ না হওয়ার কারণে যে যার মতো করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয়; এই দাম বাড়ার পেছনেও ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন জড়িত বলেও অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
তিনি বলেন, আমরা মাংসের দাম নির্ধারণ করতে বহুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের শক্ত সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে মাংসের দাম কমছে না। দাম কমলেই তারা খামারে গরু স্টক করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এতে করে ব্যবসায়ীরা চাইলেও দাম কমাতে পারছেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, সর্বশেষ ২০১৮ সালে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও সিটি করপোরেশন মিলে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে ৩২০ টাকা। কিন্তু পরের বছর সমিতির বিভিন্ন সংস্কারের পরামর্শ না শুনে সরকার দাম নির্ধারণ বন্ধ করে দেয়। এক বছরেই তখন মাংসের দাম ৫০০ টাকায় উঠে যায়।
পরে ২০২০ সালে মাংসের দাম গিয়ে ঠেকে ৬০০ টাকায়; ২০২১-২২ সালে ৭০০ টাকা এবং ২০২৩ সালে দাম হয় ৮০০ টাকা।
অন্যদিকে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৭ লাখ টন। ওই বছর দেশের বাজারে মাংসের চাহিদা ছিল ৭৬ লাখ টন। ফলে চাহিদার তুলনায় ১১ লাখ টন বেশি মাংস উৎপাদিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।