জুমবাংলা ডেস্ক : একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাক হানাদার বাহিনীকে পথঘাট চেনাতে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদের নামের তালিকা আজ রবিবার প্রকাশ করছে সরকার।
বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নাম জানাবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আবদুল্লাহিল মারুফ। তিনি বলেন, ‘রবিবার (আজ) সকাল সাড়ে ১১টায় মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা দেশের রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করবেন মন্ত্রী।
পরে তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হতে পারে।’ সূত্র জানায়, নতুন কোনো তালিকা হচ্ছে না।
বরং রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছেন বা যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয় ও ভূমিকাসহ রেকর্ড বা তালিকা সেই ১৯৭১ সালেই জেলাসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই রেকর্ড সংগ্রহ করে রাজাকারদের তালিকা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শনিবার আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রাজাকারদের নাম পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হবে।’ রাজাকারের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এই ১১-১২ হাজার হবে হয়তো, ধৈর্য ধরুন।’
সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছিল। ওই সময় গ্রামে-গঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বার ছিল, তাদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। গ্রামের এসব মেম্বার এবং বিভিন্ন দল (যেমন জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা, কনভেনশন মুসলিম লীগ) যারা পাকিস্তানের সমর্থক- ওই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।
এসব দলের নেতারা রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তবে রাজাকার বাহিনী তৈরির পেছনে ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী এবং তাদের জেনারেলরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।