রাতের আকাশের তথ্যপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করবে LSST ক্যামেরা

lsst-camera

দুনিয়ার বৃহত্তম অসাধারণ এলএসএসটি ক্যামেরা ক্যামেরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া। মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় ৮৫ শতাংশ এই ডার্ক ম্যাটার বা গুপ্ত বস্তু। অর্থাৎ অজানা ভর। যে ভরের কথা আমরা জানি, পরোক্ষভাবে এর প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে প্রত্যক্ষভাবে আজও এর সন্ধান মেলেনি। রুবিন অবজারভেটরির প্রকল্পের নির্মাণ পরিচালক জেলকো ইভেজিচ (Željko Ivezić) বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও রাতের আকাশের সবচেয়ে তথ্যপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করতে সক্ষম এই ক্যামেরাটি।’

lsst-camera

এলএসএসটির মোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে। ডার্ক ম্যাটার বা গুপ্ত বস্তুর সন্ধানের পাশাপাশি এর দ্বিতীয় কাজ, মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তুর আরও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে সাহায্য করা। ৯৬৪ সালে পারস্যের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আবদ্-আল-রাহমান আল-সুফির লেখা বুক অব ফিক্সড স্টারস–এর হাত ধরে এ তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।

তারপর কত শত ভূ-টেলিস্কোপ, নভোটেলিস্কোপ যে এ নিয়ে কাজ করেছে! সেই লম্বা তালিকায় এবার যোগ দিতে যাচ্ছে এলএসএসটি। এর আরেকটি কাজ, নিয়ত পরিবর্তনশীল আকাশের বিভিন্ন বস্তু আবিষ্কার করা। কী ধরনের পরিবর্তন ঘটছে, সেগুলো খেয়াল রাখা।

প্রতিবছর একই জায়গা থেকে আকাশের বিভিন্ন জিনিসের দুই লাখ ছবি তোলার অর্থ, সুপারনোভা বা গামা রশ্মির বিস্ফোরণ কিংবা বিচিত্র সব জিনিস চিহ্নিত করার জন্য এটি একেবারে আদর্শ। সেই সঙ্গে সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চল, কুইপার বেল্টের শত-সহস্র নতুন বস্তুকেও এটি চিহ্নিত করতে পারবে বলেই আশা করা হচ্ছে।