আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দেশটির বিরোধী দলগুলোর আরও ১১ নেতাকে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শনিবার রাহুল গান্ধী শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালেও তাদের সেখান থেকেই দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সংবাদ এজেন্সি এএনআইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামার সাথেসাথেই স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলকে পুনরায় দিল্লিতে ফেরত পাঠায়। এ সময় বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে পুলিশ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাশ্মীর সফরে যাওয়া সর্বদলীয় প্রতিনিধির মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই(এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে’র সদস্যরা রয়েছেন।
সফরে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মাও গিয়েছিলেন। এর আগে গুলাম নবী আজাদ দুইবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেছিলেন।
জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য এবং জনসংযোগ অধিদফতর এক টুইটে জানায়, আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষায় চেষ্টা করছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা সেখানে সফরে গেলে অন্যান্য লোকজন অসুবিধায় পড়ে যাবেন।
এর আগে, কাশ্মিরের রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরোধি নেতাদের এই সফরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা জানিয়েছে, কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে কেবল জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে সেখানকার শান্তি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করার পর থেকে কোন রাজনৈতিক নেতাকে কাশ্মিরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সরকারী কর্তৃপক্ষ। এমনকি স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকেও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহেবুবা মুফতি রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।