জুমবাংলা ডেস্ক : বহুল আলো’চিত বরগুনার শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হ’ত্যা মা’ম’লার রা’য়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আ’সা’মির ছয়জনের মৃ’ত্যু’দ’ণ্ড দিয়েছেন আদা’লত।
অপর চার আসা’মিকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের বিচা’রক মো. আছাদুজ্জামান এ রা’য় ঘোষণা করেন।
ফাঁ’সি’র দ’ণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসা’মি’কে বরগুনা জেলা কা’রাগা’রের কন’ডেম সে’লে রাখা হয়েছে। বরগুনার কা’রাগারে’র ক’নডে’ম সে’লে রিফাত হ’ত্যার এই ছয় আ’সা’মি ছাড়া অন্য কোনো ব’ন্দি’ই নেই বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কা’রাগা’রের তত্ত্বাবধায়ক (জে’ল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনার কা’রাগারে নারী ব’ন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কন’ডেম সে’লে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কা’রাগা’রের কন’ডেম সেলে অন্য কোন নারী ব’ন্দী নেই।
মিন্নির ফাঁ’সির রা’য়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) তার আ’ইনজী’বী জে’ড আই খান পান্না কথা বলেন, মিন্নি আ’গাগোড়াই ষ’ড়য’ন্ত্রের শিকা’র। তাকে ষ’ড়য’ন্ত্রমূল’কভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
আ’দালতের রা’য়েও সে মুক্তি পায়নি। এই রা’য়ের বি’রুদ্ধে হা’ইকো’র্টে আ’পি’ল করা হবে। আশা করি, উচ্চ আদা’লত থেকে মিন্নি খা’লা’স পাবে। আমি আবারও বলছি, মিন্নি নিরপরাধ।
তিনি হাই’কোর্টে মিন্নির জামি’নের আ’বেদনের পক্ষে শুনানি করেছিলেন। সুপ্রিম কো’র্টের এই সিনিয়র আইন’জীবী গতকাল গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, রিফাত শরীফ হ’ত্যা মাম’লায় মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁ’সির রায় দেওয়া হয়েছে।
চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে মিন্নিকে সা’জা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কিভাবে নেওয়া হয়েছে তা তো আগেই আদালতে দাঁড়িয়ে মিন্নি বলে দিয়েছেন। তাকে ক্র’সফায়া’রের ভয় দেখিয়ে আগে থেকে লিখে আনা কাগজে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট পান্না বলেন, ‘রিফাত নিহ’ত হওয়ার পর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলো যে মা’দ’ক নিয়ে নয়ন ব’ন্ডের সঙ্গে রিফাতের বি’রোধ ছিল। তাদের অভ্যন্তরীণ কো’ন্দলে’র কারণেই এই খু’নে’র ঘটনা। আমার কাছে ভিডিও ক্লিপ আছে যেখানে দেখা যায়, নয়ন বন্ড ও রিফাত মা’দ’কের কারণে একসঙ্গে গ্রে’প্তা’র হয়েছিল। অথচ এ মা’মলা’য় মা’দ’ক ও মা’দকে’র গড’ফাদা’রদের আড়াল করা হয়েছে।’
এই আইনজীবী বলেন, ‘মিন্নিকে থা’নায় বা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাকে পুলিশ লাইনসে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মা’ন’সিক নি’র্যা’তন করে স্বীকা’রোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আরেকটি বিষয়, মিন্নির জবা’নবন্দির আগেই এসপি বলে দিলেন যে মিন্নি হ’ত্যার কথা স্বীকার করেছে।
একজন এসপি এটা কিভাবে বলেন? এ কারণেই আমি বলছি, মিন্নি আগাগোড়া ষ’ড়য’ন্ত্রের শি’কার। এ জন্য রায়ের আগে ফোন করে মিন্নি ও তার বাবাকে বলেছি মান’সিক’ভাবে প্রস্তুতি নিতে। এ ধরনের একটা রায় আসতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।