আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রিলিফের খাবার নিতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পায়ে চাপা পড়ে মারা গেছেন ২০ জন। এরা সকলেই নাইজেরীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে নাইজারের বোরনো প্রদেশের দিফা শহরে। হতাহতরা জঙ্গি হামলার হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রতিবেশী দেশে। কিন্তু সেখানেই ধেয়ে এলো বিপদ।
জানা গেছে, সোমবার দিফা শহরে যুব ও সংস্কৃতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এসেছিলেন প্রদেশের গভর্ণর বাবাগনা উমরা জুলুম। তাঁর উপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল নাইজিরিয়া থেকে আসা নাইজারে আশ্রিত মানুষদের মধ্যে খাবার ও টাকা বিলির কাজ।
প্রথম দিকে অসুবিধা কিছু হয়নি। কিন্তু গভর্ণর বেড়িয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তার জেরেই হুড়োহুড়িতে সামনের দিকে থাকা লোকেরা পায়ে চাপা পড়েন।
ওই অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শরণার্থীকে খাবার ও ১৫ ইউরো করে দেওয়া হচ্ছিল। তা নিতেই অনেক শরনার্থী এসে ভিড় জমিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
প্রসঙ্গত, ৫ বছর ধরে নাইজিরিয়ার প্রচুর মানুষ পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ নাইজারে আশ্রয়ে রয়েছেন। কারণ নাইজিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম সেখানে লাগাতার গণহত্যা ঘটিয়ে চলেছিল। এর জেরেই প্রাণ বাঁচাতে কয়েক লাখ মানুষ পালিয়ে নাইজারে আশ্রয় নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।