স্পোর্টস ডেস্ক : বাগেরহাটে নিজ বাড়ির পাশে অবস্থিত পৌরসভা পার্কটি স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেসার রুবেল হোসেন।
আহামরি তেমন কিছুই সেই পার্কে নেই। একটি লেক, ঘের ও কিছু বসার জায়গা। পার্কের ভেতরে একটি খামারের মতো করে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে চারটি হরিণ এনেছিলেন রুবেল। তাছাড়া হরিণ তার ভীষণ প্রিয়ও।
বেশ কিছুদিন হলো দু’টি মা হরিণ দু’টি শাবক প্রসব করেছে। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। ফলে চার থেকে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ছয়ে। এতে করে রুবেলেরও খুশির অন্ত ছিল না। তিনিও স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন, এভাবেই হয়ত একদিন সংখ্যাটি বেড়ে অনেক হবে।
কিন্তু আচমকাই যেন তাকে স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পেয়ে বসল। কেননা আজ একটি হরিণ শাবক মারা গিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন ছেলে শাবকটির দেহে প্রাণ নেই। খামারের এক কোণে নিস্প্রাণ পড়ে আছে। রুবেলের তো মাথায় হাত! কেননা দুটির মধ্যে ছেলে শাবটিই বড়। তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যেই তরতর করে বেড়ে উঠেছিল। রুবেলের সঙ্গে তার সখ্যতাও গড়ে উঠেছিল বেশ।
সেই শাবকটিই কিনা মারা গেল! কি করে হলো? কে মারল? না, এখনই তিনি কিছু বলতে পারছেন না। তবে ধারণা করছেন বিষাক্ত শাপের ছোবলেই প্রিয় শাবটি মারা যেতে পারে। সেটা নিশ্চিত করতে তিনি স্থানীয় প্রধান পশু চিকিৎসককে ডেকেছেন। তিনি এলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
রুবেল বলেন, ‘মনটা ভালো নেই ভাই। আমার খামারের একটি হরিণ মারা গিয়েছে।’
রুবেল আরও জানান, ‘আলাদা করে খামার করিনি। বাগেরহাট পৌরসভা পার্কটি আমি লিজ নিয়েছি। সেই পার্কের ভেতরে চারটি হরিণ নিয়ে একটি খামার করেছি। ভেবেছি আহামরি তেমন কিছুই তো এখানে নেই। হরিণ থাকলে মানুষ আসবে, একটু আনন্দও পাবে। তাছাড়া আমারও হরিণ ভীষণ পছন্দের প্রাণী। কিছুদিন আগে দুটি হরিণ দু’টি বাচ্চা দিয়েছে। একটি ছেলে, একটি মেয়ে। আজ সকালে দেখি ছেলে হরিণটি নেই।’
কী করে হলো জানতে পেরেছেন? কিছুটা নিচু গলায় জানালেন, ‘বুঝতে পারছি না কি করে হলো, সাপে কামড় দিল না কি? এখানে স্টাফ রাখা আছে। তারা ধারণা করছে বিষাক্ত সাপের কামড়েই মারা গেছে।’ রুবেল বলছেন আর উদভ্রান্তের মতো খামারের দিকে ছুটছেন।
খানিকবাদে বললেন, ‘ভাই ডাক্তার এসেছে। আমি খামারের দিকে যাচ্ছি দেখি উনি কি বলেন?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।