আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সরকার। ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন থামানোর জন্য তারা এই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে লন্ডন এবং ওয়াশিংটন দাবি করছে। তবে রাশিয়া এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে নাকচ করেছে। খবর পার্সটুডে’র।
গতকাল (সোমবার) বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এমন কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি যারা পুতিন সরকারের ভেতরে বা বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন অথবা ক্রেমলিনের আগ্রাসী আচরণের ব্যাপারে সহযোগিতা করে থাকেন। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে এই সমস্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার-পরিজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং তাদের সম্পদ আটক করা হবে।”
রাশিয়ার কোন কোন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা আমেরিকার এই শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিষ্কার করেন নি তবে তিনি বলেছেন এই তালিকা দীর্ঘ। তিনি আরো জানিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাশিয়ার এসব কর্মকর্তার ব্যাপারে তালিকা তৈরি করা হয় এবং মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে তা কংগ্রেসে জমা দেয়।
মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেয়া এই রিপোর্ট থেকে রাশিয়ার সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও কয়েকজন ধনকুবেরের নাম জানা গিয়েছিল।
এদিকে, ব্রিটিশ সরকার গতকাল বলেছে, যদি রাশিয়ায় ইউক্রেনে সেনা পাঠায় তাহলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ লোকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের সম্পদ আটক করা হবে। একইসঙ্গে এ সমস্ত লোকের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।