লাইফস্টাইল ডেস্ক : সবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একইরকম নয়। এ কারণেই অসুস্থ হলে কেউ কেউ দ্রুত সেরে ওঠেন আবার কারও সেরে উঠতে সময় লেগে যায়। মহামারি শুরুর পর থেকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন করে জেনেছি। বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি।
ভাইরাস সংক্রমণের পর আমরা জেনেছি, শুধু পরিচিত ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া নয়, নতুন বা অপরিচিত জীবাণু ঠেকাতেও প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা দরকার। সেজন্য জেনে নিতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কি-না। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল কি-না। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পেটে সমস্যা হলে : বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের অন্ত্রে প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি বড় অংশ থাকে। আমাদের গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ট্র্যাক্টে সংক্রমণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সরবরাহকারী অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে সংক্রমিত হওয়ার ভয় বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে বাড়ে আরও অনেক রোগের ভয়। অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া খাবার হজমেও সাহায্য করে। আপনার যদি পেটে সমস্যা বেড়ে যায় তবে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেছে।
মুখে আলসার হলে : অনেক সময় মুখের জিহ্বা বা গালের ভেতরের অংশে কামড় বসে গেলে ঘা হতে পারে। তবে কোনো কারণ ছাড়াই যদি এমন ঘায়ের সমস্যা বার বার দেখা দেয় তবে বুঝে নেবেন আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এছাড়া অনেক সময় মানসিক চাপ থাকলেও মুখে ঘায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
কিডনির পাথর থেকে বাঁচতে হলে ২টি কাজ করুন
বেশিরভাগ সময়ে অসুস্থ থাকা : এমন অনেকেই আছেন যারা বেশিরভাগ সময়েই অসুস্থ থাকেন। আবার অসুস্থ হলে সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে সহজেই বোঝা যায় যে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। সেই সুযোগে ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু শরীরে প্রবেশ করছে। কিন্তু আপনার শরীর তাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে পারছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কারও বছরে তিনবার ঠান্ডার সমস্যা অর্থাৎ সর্দি-কাশি দেখা দেয় এবং সুস্থ হতে সময় লাগে তাহলে বুঝে নিতে হবে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া কাটা-ছেঁড়া সারতে সময় লাগলেও বুঝতে হবে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী নয়।
প্রচণ্ড ক্লান্তি বা অবসাদ : অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রামের পরও ক্লান্তি জেঁকে বসে যেন। বিশ্রাম নিলেও ক্লান্তি কাটে না। এমনটা হলে সতর্ক হোন। এর কারণ হতে পারে দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা। প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে শরীরে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি শক্তির। ফলে দেখা দেয় অতিরিক্ত ক্লান্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।