আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনা সংক্রমণ ও এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দেশটির প্রায় ৩ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে ভুয়া ওঝাদের দাপট বেড়েই চলেছে। কেউ ঝাড়ফুঁক করে কেউ বা পানি পড়া বা মাদুলি দিয়ে করোনা সারাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। এরকমই একজন তান্ত্রিক করোনা সারানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তার চিকিৎসা পদ্ধতিটিও ছিল বড় অদ্ভুত। তিনি করোনা আক্রান্তদের চুমু দিয়ে রোগ সারাতেন বলে জানা যায়। এ কারণে তাকে অনেকে ‘চুমু বাবা’বলে ডাকতেন। সূত্র: আনন্দবাজার
জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের ওই তান্ত্রিক করোনা আক্রান্তদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুম্বন করতেন। আর এভাবেই তিনি লোকজনের করোনা ঠেকানোসহ রোগীদের সুস্থ করে তোলার দাবি করেছিলেন। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ‘চুমু বাবা’নিজেই পটল তুলেছেন।
এরপর তার সংম্পর্শে আসা লোকজনের খোঁজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জানা যায়, তার চুমু খাওয়া ২০ জনেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।
ওই তান্ত্রিক থাকতেন মধ্যপ্রদেশের রতলামে। ঝাড়ফুঁক করাই ছিল তার পেশা। নিজের ভক্ত ও তার কাছে আসা ব্যক্তিদের হাতে চুম্বন করতেন তিনি। আর এর মাধ্যমে তিনি তার ভক্তদের যাবতীয় রোগ থেকে দূরে রাখার দাবি করতেন। আর এভাবে ওই ‘চুমু বাবা’ কোভিড-১৯ থেকেও বাঁচতে সাহায্য দাবি করতেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৩ জুন চুমু বাবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পরের দিন মারা যান তিনি।
এরপরই তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খোঁজ শুরু হয়। এ রকম প্রায় ৪০ জনের খোঁজ করে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের মধ্যে ২০ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে। পাওয়া গিয়েছে। ২০ জনের মধ্যে সাত জনই ওই তান্ত্রিকের পরিবারের সদস্য।
এছাড়া ‘চুমু বাবা’র সংস্পর্শে আসা বাকিদেরকেও কোয়রান্টিনে রেখেছে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।