বিনোদন ডেস্ক : মিথিলা-সৃজিত। এই মূহুর্তে দুই বাংলার দুই তারকা অবস্থান করছেন দুই প্রান্তে। উৎসব আর এক সঙ্গে পথচলার সব আয়োজন আটকে গেছেন লকডাউনে। এদিকে আজ জামাইষষ্ঠী। জন্মদিন, ঈদের মত এটিও কপালে নেই সৃজিতের। মনে অনেক কষ্ট মিথিলারও। অনেক পরিকল্পনা ছিল সৃজিতকে নিয়ে। কিন্তু কিছুই হল না।
এ বিষয়ে মিথিলা বলেন, ‘প্ল্যান ছিল অনেক। হল না কিছুই। আমি বাংলাদেশে আর সৃজিত ভারতে। মাঝখানে কাঁটা হয়ে রয়েছে লকডাউন। জন্মদিন, ঈদ আর আজ জামাইষষ্ঠী। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল সবই। সৃজিত আর আমার প্রথম জামাইষষ্ঠী। কথা ছিল আফ্রিকা থেকে শুটিং সেরে বাংলাদেশ আসবে সৃজিত। সবাই মিলে আমার জন্মদিন, ঈদ সব একসঙ্গে পালন করব। সে সব হল না। এখন ভরসা ওই ভিডিও কল আর ফোন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদিও জামাইষষ্ঠী বলে কিছু নেই, তবে সৃজিত এই মুহূর্তে এখানে থাকলে ওকে আম্মুর হাতের শুঁটকি মাছের ভর্তা, ইলিশভাপা আর কষা মাংস খাওয়াতাম। ও খেতে খুব ভালোবাসে। এবার আর তা হল না। তাই ওকে বলেছি, ‘এক কাজ কোরো, ওখানকার কোনও খাবারের দোকান থেকে তোমার পছন্দমতো খাবার কিনে খেও। মনে করো জামাইষষ্ঠীর খাবার খাচ্ছ।’
সৃজিতের স্ত্রী আরও বলেন, ‘তবে এটা ঠিক, ও আগে যতবার এ দেশে এসেছে, জামাই আদর কিন্তু বেশ ভালোভাবেই করা হয়েছে। বাহারি রান্নার পদ, ও যা যা ভালোবাসে তাই রেঁধেছে আমার বাড়ির লোকেরা। আমার মায়ের হাতের রান্না আবার ওর বড়ই প্রিয়। এ রকম বহু বার দেখেছি, ও খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না। এমনিতেই আমাদের দাওয়াত মানেই দশ-পনেরো রকমের পদ হয়। কিন্তু সৃজিতকে কখনও খাওয়ার ব্যাপারে ক্লান্ত হতে দেখিনি। আমি বরং এখন বারণ করি, বলি একটু কম খাও। শরীরের দিকেও তো নজর রাখতে হবে। তবে আম্মুকে দেখেছি, ওকে খাইয়ে যা সুখ পায় তা যেন আর কিছুতে নেই।’
‘আমাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী তোলা থাকল পরের বারের জন্য।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।