জুমবাংলা ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র সোহেল তাজ বর্তমানে রাজনীতি থেকে আড়ালে থাকলেও হটলাইন কমান্ডো নামে একটি টেলিভিশন শো নিয়ে দেশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে তাকে আবার রাজনীতিতে আনার জন্য আওয়ামী লীগের একটি মহল নড়েচড়ে বসেছেন। বিশেষ করে আসন্ন যুবলীগের সম্মেলনে সোহেল তাজকে লাইমলাইটে আনতে বেশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে যুব রাজনীতির নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়ে সোহেল তাজের খুব বেশি একটা আগ্রহ না থাকলেও ওই মহলটি যেকোন প্রক্রিয়ায় সোহেল তাজকে যুবলীগের সর্বোচ্চ ‘চেয়ারম্যান’ পদে বসানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোহেল তাজের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে পৌছেঁ দেয়া হয়েছে।
সোহেল তাজ গত মেয়াদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে বেশ লাইমলাইটে আসেন। বিশেষ করে ক্লিন ইমেজের কারণে দল ও সরকারে তার বেশ সুনাম তৈরি হয়।
সেসময় জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তানরা বিশেষ করে প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবিএম খাইরুজ্জামান লিটনের প্রবল চেষ্টা ছিল সোহেল তাজকে রাজনীতিতে সক্রিয় করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনে-প্রাণে চেয়েছেন সোহেল তাজ সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসুক। কিন্তু অভিমানে শেষ অবধি দলীয় রাজনীতির বাইরেই থেকে যান সোহেল তাজ। যদিও বর্তমানে দেশে থাকলে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। তাছাড়া তার বোন সাংসদ সিমিন হোসেন রিমির পক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকা কাপাসিয়ায় দলীয় অংশসূচিতে অংশ নেন সোহেল তাজ।
একাধিক সূত্র জানায়, যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে জাতীয় চার নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে সোহেল তাজকে যুবলীগ চেয়ারম্যান মনোনীত করার জন্য চেষ্টা-তদবির চলছে। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন রাজশাহী সিটি মেয়র খাইরুজ্জামান লিটন।
এ প্রসঙ্গে লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই । তার মতে, নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব বর্তমান সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন।
সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে মানুষকে সচেতন করতে ‘হটলাইন কমান্ডো’ নামের টেলিভিশন শো নিয়ে এখন কাজ করছেন সোহেল তাজ।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি সমাজের সুস্থতাও দরকার উল্লেখ করে সোহেল তাজ বলেন, ‘সুস্থ থাকা মানে শুধু স্বাস্থ্যই না; সমাজের সুস্থতাও দরকার। গণমাধ্যমে এখন ধর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইভটিজিং রয়েছে, মাদক—এগুলো সমাজের ব্যাধি। সমাজের সব ব্যাধিকে আমাদের লাল কার্ড দেখাতে হবে। সমাজের সমস্যাগুলোকে সমাধান করা না গেলে সোনার বাংলা গড়া যাবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।