লাইফস্টাইল ডেস্ক : লাকড়ির আগুনে রান্না অনেক মজা হয় বলেই মত দেন ভোজন রসিকরা। আবার গনগনে কয়লার আগুনে কাবাবের তুলনাই নেই। কিন্তু নতুন এক গবেষণা হতাশ করবে রসনা বিলাসীদের। বলা হচ্ছে, কাঠ কিংবা কয়লার আগুনে রান্না করলে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ির সম্ভাবনা বাড়ে।
সেই সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের রোগে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
চীনের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে ৩ শো কোটি মানুষ বাড়িতে রান্নার কাজে কাঠ, কয়লা কিংবা অন্যান্য নিরেট উপাদান ব্যবহার করেন। এসব নিরেট জ্বালানিতে উচ্চমাত্রার দূষণ সৃষ্টি হয়। রান্নার সময় জ্বালানির অতি ক্ষুদ্র উপাদানগুলো আশপাশের মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে অতি সহজেই। সাধারণত এ ধরনের চুলা গ্রামাঞ্চলে এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই বেশি ব্যবহৃত হয়। চীনে নগরায়ন অতি দ্রুত ঘটলেও সেখানকার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এখনো এসব উপাদান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে।
তবে যারা এ উপায়ে রান্না করছেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি বুঝতে গবেষকরা বয়স, লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক অবস্থান, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ধূমপান, অ্যালকোহল পান, খাদ্য তালিকা, কায়িক শ্রম এবং স্থূলতা বিবেচনায় এনেছেন।
প্রধান গবেষক কা হুং চ্যান বলেন, এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় কঠ বা কয়লার আগুনে রন্ধনপদ্ধতির সঙ্গে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি) এর সম্পর্ক নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ গবেষণাই এক্ষেত্রে ফুসফুসের অবস্থা বিবেচনায় আনে। কিন্তু এগুলোতে হাসপাতালে আনাগোনা বা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ নেই।
অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিওপিডি’র ঝুঁকি দুই বা তিনগুন বেশি তাদের মধ্যে দেখা দেয় যারা চুলায় কাঠ কিংবা কয়লা ব্যবহার করেন। তবে জ্বলন্ত কাঠ কিংবা কয়লার সঙ্গে সিওপিডি’র সম্পর্ক স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হয়নি।
সিনিয়র গবেষক ঝেংমিং চেন বলেন, এই পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় নিরেট জ্বালানিতে রান্নার সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের রোগের সম্পর্ক এখন পর্যন্ত অনেকটা অনুমান নির্ভর হয়েই আছে। কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের রোগের পেছনে যে এটা একটা প্রভাবশালী কারণ তা উপলব্ধি করা গেছে। আরো গবেষণায় তা স্পষ্ট হবে।
সূত্র: এএনআই নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।