মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ বেগুনি টমেটো বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। বলা হচ্ছে লাল টমেটোর চেয়ে এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটনার ক্ষেত্রে এটি অবদান রাখতে পারবে। তবে এ টমেটো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বিধায় অনেকে ভাবছে এটি স্বাস্থ্যের প্রতি কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা।
অনেক ব্যক্তি প্রতিদিনের খাবারে টমেটোকে রাখতে পছন্দ করেন। সালাত, স্যান্ডউইচ সহ বিভিন্ন খাবারের উপাদান হিসেবে টমেটো ব্যবহার করা হয়। এই সবজিতে অনেক পুষ্টি বিদ্যমান। টমেটো লাইকোপিনের একটি ভালো উৎস যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর বিজ্ঞানীরা বলেছে যে, লাইকোপিন এবং অ্যান্থসায়ানিন এর মত এন্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস হচ্ছে টমেটো যা শরীরের প্রদাহ কমায়। লাইকোপিন টমেটো, পেঁপে এবং তরমুজের মধ্যে অবস্থিত।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগের সম্ভাবনা কম থাকে। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্থসায়ানিন এর শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে। গবেষকরা ১৫ বছর আগ থেকে এ ধরনের সমৃদ্ধ টমেটো বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন।
এজন্য তারা টমেটোর জেনেটিক কোড নিয়ে কাজ করেছেন। নিয়মিত টমেটোর মত এখানে অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। ব্লুবেরির সমান পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন এখানে রয়েছে। বেগুনি টমেটো রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে হচ্ছে।
নেচার বায়োটেকনোলজিতে পাবলিশ হওয়া একটি গবেষণায় বলা হয় যে, ২০০৮ সালে ক্যান্সার এ আক্রান্ত ইঁদুরকে খাদ্য হিসেবে বেগুনি টমেটো দেওয়া হয়েছিল। পরে এ গবেষণার ফলাফল ছিল অনেক বেশি ইতিবাচক।
২০২১ সালে এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উৎপাদিত খাবারকে মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে। গবেষকরা মনে করেন এর পিছনে মিডিয়া কভারেজ অনেক বেশি দায়ী। বাস্তবে গ্রাহকরা এসব তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।