স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে জিতে ইংলিশ ফুটবল লিগ কাপের ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল চেলসি। এদিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে জয়ী হয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে টটেনহ্যামকে বিদায় করে লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। টটেনহ্যামের মাঠে ১৮ মিনিটে এন্টোনিও রুডিগারের গোলের চেলসির জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচের তিনটি ভিএআর সিদ্ধান্ত ব্লুজদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে প্রথম লেগের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলে জয়ী হয়েছিল স্বাগতিকরা।
ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেয়েও ভিএআর টটেনহ্যামের পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। এছাড়া হ্যারি কেনের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এসবই কাল স্পার্সদের জন্য দূর্ভাগ্য বয়ে এনেছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলিতে লিভারপুণ বনাম আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে থমাস টাচেলের চেলসি। করোনার কারনে লিভারপুল-আর্সেনালটি সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচ শেষে টাচেল বলেন, ‘আমাদের শুরুটা ভাল হয়েছিল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রনও আমাদেরই ছিল। কিন্তু আমরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারিনি। বেশ কিছু ভুলে আমাদের সুযোগগুলো হাতছাড়া হয়েছে। তারপরেও সৌভাগ্যের জোড়ে আজ আমরা জয়ী হয়েছিল। কোন কারন ছাড়াই আমরা ওদের পেনাল্টি প্রায় দিয়েই দিয়েছিলাম। ভিএআর সিদ্ধান্তগুলো আমাদের দিকে যাওয়ায় এ যাত্রা রক্ষা হয়েছে।’
চেলসির ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে টাচেল দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ ও লিগ কাপের ফাইনালে নিয়ে যাবার কৃতিত্ব দেখালেন। মাত্র ৩৫০ দিনের দায়িত্বে টাচেল এই কৃতিত্ব অর্জণ করেছেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রথম ডাগ আউটে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর থেকে এটি চেলসির প্রথম লিগ কাপের ফাইনালে খেলা।
২০১৫ সালের পর থেকে তারা এই ঘরোয়া লিগ কাপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে লিগ কাপ জয়ের পর আর কোন বড় শিরোপা ঘরে তুলেনি টটেনহ্যাম। কোচ এন্টোনিও কন্টে স্বীকার করেছেন চেলসির মত একটি দলের বিপক্ষে গোল হজম করার পর তার থেকে বেরিয়ে আসাটা মোটেই সহজ নয়। কন্টে বলেন, ‘দুই ম্যাচ পরে যোগ্য দল হিসেবেই চেলসি ফাইনালে খেলছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছিলাম। কিন্তু কোনটাই কাজে লাগাতে পারিনি।’
নিয়মিত গোলরক্ষক হুগো লোরিসের স্থানে স্পার্সদের মূল দলে ইতালিয়ান গোলরক্ষক পিয়ারলুইগি গোলিনির অন্তর্ভূক্তি অনেককেই বিস্মিত করেছে। ১৮ মিনিটে চেলসির গোলটি শেষ পর্যন্ত কন্টের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ব্যুমেরাং হিসেবেই কাজ করেছে। ম্যাসন মাউন্টের কর্ণার থেকে লাইন থেকে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন গোলিনি। এই সুযোগে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা রুডিগারের হেড আর আটকাতে পারেননি। এবারের প্রিমিয়ার রিগে টটেনহ্যামের বিপক্ষে চেলসির জয়ের দিনেও গোল পেয়েছিলেন রুডিগার। আরো একবার জার্মান এই ডিফেন্ডারের আগ্রাসী চেহারাই দেখেছে স্পার্সরা। ডি বক্সের ভিতর হোলবার্গকে স্লাইডিং ট্যাকেলের কারনে রুডিগারের বিপক্ষে পেনাল্টির আবেদন করেছির টটেনহ্যাম। রেফারি মেরিনার তাতে সাড়াও দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিএআর প্রমাণ করেছে ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো একটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত কার্যত টটেনহ্যামের বিপক্ষেই গেছে। কেনের পাস থেকে লুকাস মৌরা গোলের দিকে এগিয়ে গেলেও চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা তাকে পা দিয়ে ব্লক করে দেন। মেরিনার স্পট কিকের নির্দেশ দিলেও আবারো ভিএআর তা পাল্টে দিলে টটেনহ্যাম শিবিরে হতাশা নেমে আসে। ৬৩ মিনিটে কর্ণার থেকে কেন বল জালে জড়ালেও অল্পের জন্য অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।