বিনোদন ডেস্ক : দেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী দিলরুবা খান। তার গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘পাগল মন’ অনুমতি ছাড়া রিমেক ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে এই ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা করেছেন এই কণ্ঠশিল্পী। এই গান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি-
‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে অনেকদিন হলো। এতদিন পর এ ছবিতে ব্যবহার করা ‘পাগল মন’ গানের রিমেক করা নিয়ে কথা উঠছে কেন?
আমি যখনই বিষয়টি জানতে পেরেছি, তখনই এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। ছবি কতদিন আগে মুক্তি পেয়েছে, এটা কিন্তু বড় বিষয় নয়। বিষয়টি আমার আইনজীবী ওলোরা আফরিন কিন্তু সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন। এও জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়েরের আগে আমরা একটা আইনি নোটিশ দিয়েছিলাম। সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এ নিয়ে ছবির অভিনেতা ও প্রযোজক শাকিব খান সমঝোতায় আসেননি। তাই কপিরাইট আইন ভঙ্গ করায় আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। কারণ এই গানের গীতিকার আহমেদ কায়সার, সুরকার আশরাফ উদাস ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আমার কপিরাইট করা আছে। তাই যা হওয়ার তা আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। আমি এ নিয়ে আলাদা কিছু বলতে চাই না। এর বেশি জানার থাকলে আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
কিন্তু পাসওয়ার্ড ছবির অভিনেতা ও প্রযোজক শাকিব খান বলছেন, আপনার কাছে থেকে অনুমতি নিয়েই গানটি তার ছবিতে ব্যবহার করেছেন?
তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। আর আমি যদি অনুমতি দিয়েই থাকি, তাহলে আমি কেন আইনের আশ্রয় নিতে যাব।
আগেও তো আপনার এই গান অনেকে গেয়েছেন। তখন কেন প্রশ্ন তোলেননি?
তরুণ শিল্পীরা মঞ্চে, টিভিতে গেয়েছে বিভিন্ন সময়, এখনও গায়। তারা ভালো লাগা থেকে কাজটি করে। তাছাড়া তরুণ বা নতুন শিল্পীদের তো নিজস্ব গান থাকে না, তাহলে তারা শোনাবে কী? এই ভাবনা থেকে তরুণদের কখনও কিছু বলিনি, বলতে চাইও না। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসায়িক স্বার্থে কিংবা অনুমতি না নিয়ে এই গানের রিমেক করে, প্রচার, প্রকাশনার দিকে যায়, তাহলে অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতেই হবে।
অতীতে অনেক শিল্পী ও গীতিকার, সুরকারের মতো আপনি গানের রয়্যালিটি না পাওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নতুন করে গানের ভুবনে ফেরার পর কি রয়্যালিটি পাচ্ছেন?
গানের রয়্যালিটি কখনও পাইনি কিন্তু পেতে চাই। আগে আমাদের গান অ্যালবাম আকারে ক্যাসেট ও সিডিতে প্রকাশ পেত। সেই ক্যাসেট বা সিডি কী পরিমাণ বিক্রি হতো- তার সঠিক হিসাব প্রকাশক ছাড়া কেউ জানত না। জানানোর প্রয়োজনও হতো না, কারণ কাউকে রয়্যালিটি দেওয়া হতো না। তাই এককালীন কিছু টাকা পেলেও রয়্যালিটি পাইনি। এখন অনলাইনে গান প্রকাশ পাচ্ছে, সহজেই জানা যাচ্ছে কোন গানের শ্রোতা কত। এছাড়া কপিরাইট নিয়েও আওয়াজ উঠছে, তাই এর একটা ফয়সালা হওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। শিল্পী ও সংগীতস্রষ্টারা আর কতদিন বঞ্চিত হবে- এটা সবারই ভেবে দেখা উচিত।
মাঝে অনেকদিন গান করেননি, কারণ কী?
অসুস্থ থাকার কারণেই গান করা হয়ে ওঠেনি। আমাকে যারা আগে দেখেছেন, তারা জানেন আমার শরীরের ওজন কী পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। সেই ওজন কমাতে গিয়ে কিছু ওষুধ খেয়েছিলাম। সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই শরীর আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে অনেকদিন লেগেছে। এখন সবার দোয়ায় সুস্থ আছি এবং নতুন গানের আয়োজন করে যাচ্ছি।
এর মধ্যে নতুন গান প্রকাশের পরিকল্পনা আছে?
করোনার জন্য একটি গানের রিলিজ আটকে ছিল। ‘বেঈমানের থাকে না ঘর’- এমনই কথায় সাজানো গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন ফকির হযরত শাহ। কিছুদিনের মধ্যে ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। ফোক সুরের এই গান অনেকের মনে দাগ কাটবে বলেই আমার ধারণা। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।