শাকিব খান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যিনি একক রাজত্ব করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। কারণ শাকিব খানের পর আর অন্যকোন নায়ক আর সেভাবে নিজেদের দর্শকপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারেননি। যারা এসেছেন তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ পরিচালকই শাকিব খানকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করতে চান লাভের মুখ দেখার জন্য।
যদিও শাকিব খানের শুরুর দিকটা সেরকম মসৃণ ছিলো না। শাকিবের শুরু ১৯৯৯ সালে। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবিতে নায়িকা ইরিনের বিপরীতে অভিনয় দিয়ে শুরু করেন চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার।
এরপর অনেকটা চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে ধৈর্যের কাছে হেরে যাননি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসকে যথাযথ মূল্যায়ন করে আজ এ অবস্থানে। সেলুলয়েডের পর্দায় শুধু নায়ক নয় গ্ল্যামার নায়িকাও প্রয়োজন পড়ে। সাকিবের এ দীর্ঘ পথযাত্রায় আগমন ঘটেছে অনেক নায়িকার। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্রকারদের হিসেব অনুযায়ী ৩০ জনেরও বেশি নায়িকার সঙ্গে তিনি সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন।
যারমধ্যে ইরিন, কারিশমা শেখ, শাবনূর, পূর্ণিমা, মুনমুন, পপি, কেয়া, কুমকুম, মৌসুমী, সাহারা, শুভেচ্ছা, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, জনা, রত্না, মিম, স্বস্তিকা মুখার্জী, রোমানা, শখ, তিন্নি, মাহিয়া মাহি, জয়া আহসান, ববি, আঁচল, কোয়েল মল্লিক, আফসানা আরা বিন্দু, তিশা, পরীমণি ও জানভী রয়েছেন।
তবে তার ক্যারিয়ারের শুরু দিকে অনেক নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করলেও বেশিরভাগ ছবিতে তিনি শাবনূর, পূর্নিমা ও পপির সঙ্গে অভিনয় করেছেন।
এরপর ২০০৬ সালের পর থেকে বলতে গেলে অপু বিশ্বাস আর শাকিব খান জুটিকে নিয়ে নির্মাতারা এক চেটিয়া ছবি নির্মাণ করছেন। যদিও ২০১২ সালের দিকে চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রত্যাবর্তনের কারণে নতুন বেশকিছু মুখ ছবিতে অভিনয়ে আসে। কিন্তু শাকিব অপু জুটির রাজত্ব এখনো চলছেই।
সর্বশেষ ঈদেও তাদের অভিনীত ছবি সর্বাধিক ব্যবসা সফল। প্রসঙ্গত শাকিব খান দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।এছাড়া অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে এ তারকার ঝুলিতে। নেপথ্য গায়ক হিসেবে মনের জ্বালা, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ছবির দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া এস কে ফিল্মস নামে তার একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।