চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। আর নোবেল জেতার পরপরই পুরস্কারটি তিনি উৎসর্গ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।
এখানেই থেমে থাকেননি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কট্টর বিরোধী এই নেত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সরাসরি ফোন করে দিয়েছেন নিজের ভক্তির প্রমাণও।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার ‘গণতন্ত্রকামী’ মাচাদোর কাছ থেকে ফোন পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য নিজেকে নোবেলের দাবিদার বলে ঘোষণা করে এলেও মাচাদো সেই পুরস্কার জেতার পর নরওয়ের নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করতে দেখা যায়নি তাকে।
বরং শুক্রবার সন্ধ্যায় ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো তাকে নিজেই ফোন করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি তার সম্মানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
এ সময় বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সমাধানের জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্বও দেন মাচাদো। ট্রাম্প বলেন, ‘আজ যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, আমি আপনার সম্মানে এটি গ্রহণ করছি। কারণ আপনি সত্যিই এটির যোগ্য ছিলেন। তবে, আমি তাকে বলিনি যে তাহলে এটি আমাকে দিন। যদিও আমার মনে হয়, তিনিই এটি পেয়েছেন। তিনি খুব ভালো।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চুক্তি করা, যুদ্ধ বন্ধ করা এবং জীবন বাঁচানো চালিয়ে যাবেন। তার হৃদয় একজন মানবতাবাদী, এবং তার মতো কেউ কখনও হবে না যে তার ইচ্ছার শক্তি দিয়ে পাহাড় সরাতে পারে।’
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মারিয়া কোরিনা মাচাদোর। তিনি আত্মগোপনে থেকে ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও করছেন।
নোবেল জেতার পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া মাচাদোর একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ্যে এসেছে, যা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন প্রকাশ্য সমর্থক।
ভাইরাল ওই সাক্ষাৎকারটিতে ভেনেজুয়েলার এ নেত্রী গর্বের সঙ্গে বলেন, আমি বিশ্বাস করি এবং আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ইসরায়েলের সমর্থনে আমাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি লিখেন তিনি। ওই চিঠিতে নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে উৎখাত করতে ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানান মাচাদো।
এমনকি গাজায় ইসরায়েল যে বর্বরতা চালিয়ে আসছে, সেটির পক্ষেও নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন ভেনেজুয়েলার এ নারী রাজনীতিবিদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।