স্বাস্থ্য হল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কোনো একটি অবহেলা করলে তা আমাদের জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয় সেগুলি হল:
- দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন আর্থ্রাইটিস, মাইগ্রেন, বা পেশীবহুল ব্যথা। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণে আমরা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারি না, ঘুমাতে পারি না, এমনকি মানসিক চাপে ভুগতে পারি। তাই দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা অনেক শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং ক্যান্সার। তাই ওজন বৃদ্ধি হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ডায়েট ও ব্যায়াম করা উচিত।
- হৃদরোগের লক্ষণ: হৃদরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, বুকে চাপ অনুভূতি, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, এবং বমি বমি ভাব। হৃদরোগের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- স্ট্রোকের লক্ষণ: স্ট্রোকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মুখের একপাশে অবশতা, কথা বলতে বা বোঝার অসুবিধা, একপাশে দুর্বলতা, এবং দৃষ্টিশক্তির সমস্যা। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ক্যান্সারের লক্ষণ: ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ত্বকের অস্বাভাবিক দাগ বা ফুসকুড়ি, স্তনে বা শরীরের অন্য কোথাও কোনো টিউমার, অনিয়মিত মাসিক, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, এবং রক্তপাত। ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয় সেগুলি হল:
- বিষণ্নতা: বিষণ্ণতা একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা যা আমাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। বিষণ্ণতার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে আগ্রহ বা আনন্দের অনুভূতি হারানো, ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধা হ্রাস বা বৃদ্ধি, শক্তির অভাব, এবং আত্মহত্যার চিন্তা। বিষণ্ণতা হলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাহায্য নেওয়া উচিত।
- উদ্বেগ: উদ্বেগ একটি সাধারণ মানসিক সমস্যা যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। উদ্বেগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, ঘাম, দ্রুত হৃদস্পন্দন, পেশীতে টান, এবং ঘুমের সমস্যা।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। তবে অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। মানসিক চাপের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধা হ্রাস বা বৃদ্ধি, রাগ, হতাশা, এবং ক্লান্তি। মানসিক চাপ কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা উচিত।
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলিকে অবহেলা করা আমাদের জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। তাই কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা করা উচিত। পাশাপাশি প্রতি বছর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।