জুমবাংলা ডেস্ক : মতিঝিলে ‘সিটি সেন্টার’ এর ১৪ তলা থেকে পড়ে তানজিনা আক্তার রুপার মৃ’ত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় আসামি তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাট ধ’র্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে গলা টিপে হ’ত্যার পর ১৪ তলা থেকে নিচে ফেলে দেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি নিজেই এটা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত তানজিনা আক্তার রুপার মা সালেহা আক্তার বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় যুবায়ের আহমেদ সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্ত করছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম।
পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুল বলেন, ‘সম্রাটকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি সেন্টারের বহুতল ভবন দেখানোর কথা বলে রুপাকে নিয়ে যান সম্রাট। সেখানে একটি রুমে নিয়ে রুপার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। এতে রুপা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে সম্রাট তার গলা টিপে ধরেন। এতে এক পর্যায়ে রুপা মা’রা যান। পরে লা’শ গোপন করতেই ১৪ তলা থেকে রুপাকে নিচে ফেলে দেন সম্রাট। পরে তিনি নিজেই সৎ বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।’
এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রুপার লা’শ তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। ঢাকাতেই তার লা’শ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য শনিবার বিকালে মতিঝিলের ৩৭ তলা সিটি সেন্টারের ১৪ তলা থেকে পড়ে তানজিনা আক্তার রুপার মৃ’ত্যু হয়। এ ঘটনায় তার সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাটকে আ’টক করে পুলিশ।
নিহত রুপা রাজধানীর গোড়ানের আলী আহম্মেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বাসা খিলগাঁওয়ে। সূত্র : বাংলাদেশ টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।