জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও নামক গ্রামে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দায়রকৃত মামলায় ইরশাদ আলী (৪০) নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার উপজেলার কাশিপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে দিরাই ও শাল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শাল্লার ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানা ও আদালতে মামলা হয়েছে চারটি। শাল্লা থানায় গত ১৮ মার্চ দুটি এবং ২২ মার্চ একটি মামলা হয়। সর্বশেষ পহেলা এপ্রিল আদালতে আরেকটি মামলা হয়।
এদিকে শাল্লার ঘটনায় শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজার জেলায় বদলি করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
এদিকে এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতা দায়ী বলে শুরু থেকেই বলে আসছিলেন গ্রামবাসী। পুলিশকে আক্রমণের খবর দেয়া হলেও যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে গ্রামবাসী বিভিন্ন প্রতিনিধি দলকে অবগত করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে হেফাজত অনুসারীরা ফেসবুকের একটি পোস্ট নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ঝুমন দাসকে আটক করে। পরদিন হেফাজত নেতাকর্মীরা ৭টি গ্রামের মসজিদের মাইকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও লুটপাটে অংশ নেয়। এ সময় তারা ৯১টি বাড়ি, ৭টি মন্দির ভাঙচুর করে ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে। বর্তমানে এই মামলায় ৩৫ জন আসামি জেল হাজতে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।