জুমবাংলা ডেস্ক : আদালতের আদেশের পর ৩ মাস ২১দিন পর নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রাম থেকে মারজাহান বেগম নামে এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে বিকেলে আবার তাকে দাফন করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রহিমা বেগম। ওই মামলায় রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক, সৎ ছেলে সোহাগ, রাজু ও সৎ মেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছেন।
রোববার (২৫ জুলাই) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় ওই গৃহবধূর মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এবং সুধারাম মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় মারজাহানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩ এপ্রিল দুপুরে সৎ ছেলে সোহাগের স্ত্রী মারজাহানকে (পুত্রবধূ) বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে যান রহিমা বেগম। রাত ২টার দিকে রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক তাকে মোবাইল ফোনে জানান মারজাহান বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
পরদিন ভোরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। আসার পর রহিমা জানতে পারেন সোহাগের পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় রাতে মারজাহানের সঙ্গে আসামিদের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে চাইলে খালেকসহ পরিবারের লোকজন রহিমাকে ঘরে আটকে রাখে। প্রায় দুই মাস ঘরে আটক থাকার পর গত ১৬ জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নোয়াখালী আমলি আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
নিহত মারজাহানের গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হত্যার আগেও আসামিরা একাধিকবার মারজাহানকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।