আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানসিক সমস্যায় ভোগা এক অন্ধ বৃদ্ধকে খাটের সঙ্গে বেধে রেখেছিলেন আত্মীয়রা। ভোরের অন্ধকারে সেই বৃদ্ধকে খুবলে খেল চিতাবাঘ কোনও ভাবেই প্রতিরোধের সামান্য চেষ্টাও করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি ভারতের গুজরাটের গির অরণ্য সংলগ্ন ডালখানিয়া রেঞ্জের এক খামারে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ৭৫ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম মনু সাভালিয়া। তিনি গুজরাটের অমৃতপুর গ্রামের বাসিন্দা। জন্ম থেকে অন্ধ মনু মানসিক সমস্যার জন্য আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতেন মাঝে মাঝেই। কামড়ে দিতেন গ্রামবাসীদের। সেই কারণেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই সুরাটে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাই মনুর দায়িত্ব ছিল এক আত্মীয় ও এক কাজের লোকের উপরে। বুধবার( ২৭ জানুয়ারি) ভোরে তাঁরা দু’জনেই সেচের জন্য জল দিতে গিয়েছিলেন খেতে। ফলে খামারের ভিতরে একাই ছিলেন মনু। আর তখনই সেখানে হানা দেয় চিতাবাঘ।
পরে মনুর বাড়ির লোক এসে আবিষ্কার করেন তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। দেখা যায়, চিতাবাঘ তাঁর শরীরের অনেকটাই খুবলে খেয়ে নিয়েছে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু মানতে পারছেন না তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। এক প্রতিবেশীর কথায়, ”মনুর মানসিক সমস্যা ছিল। সেই কারণে উনি লোককে কামড়েও দিতেন। কিন্তু শারীরিক ভাবে উনি খুবই শক্তিশালী ছিলেন। অনায়াসেই খালি হাতে দু’-তিনজনের মহড়া নিতে পারতেন। ওঁর হাতটা যদি খোলা থাকত, উনি চিতাবাঘটাকে ঠিকই হারিয়ে দিতেন।”
এদিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। বৃদ্ধের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি রিপোর্টে প্রমাণিত হয়, তাঁকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল তাহলে যারা একাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার। এদিকে চিতাবাঘটি নরখাদক হয়ে ওঠায় সতর্ক বন দপ্তর। এক বন কর্মকর্তা জানান, চিতাবাঘটিকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।