জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষা আইন ২০২০ -এর খসড়া চূড়ান্তে করতে বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সভাপতিত্ব করবেন।
বৈঠক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা আইনে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের নোট-গাইড নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সহায়ক বই প্রকাশ করা যাবে। শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে বা কোচিং করাতে পারবেন না, তবে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং চালাতে কোনো বাধা থাকবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে কোচিংয়ে যেতে পারবেন না। শিক্ষকরা কোনোভাবেই নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিংও করাতে পারবেন না।
প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ার ১৬ ধারার ১ ও ২ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উপধারা ৩-এ বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই বা গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ প্রদান করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এখতিয়ারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
তবে উপধারা ৪-এ বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক পুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে।
২০১১ সালে শিক্ষা আইন নিয়ে কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে একাধিকবার মতামত নেওয়ার পর খসড়া তৈরি হয় এবং একবার মন্ত্রিসভায়ও উপস্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু নানা অসংগতির কারণে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরিতে মন্ত্রণালয়ের সব কাজ শেষ হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) এই খসড়া চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে তা দ্রুতই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।