জুমবাংলা ডেস্ক: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠায় তাকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার পূর্বক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে দেওয়ানগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহকে লাঞ্ছিত করেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং বিষয়টি সংগঠনের জন্য বিব্রতকর। সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এবং অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হতে বহিষ্কার পূর্বক অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ অস্বীকার করেন পৌর মেয়র বলেন, তাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নাম ৫ নাম্বারে ডাকায় মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেরে উল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং চড় থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় মেহেরউল্লাহ বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জের শিক্ষক সমিতি মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে গ্রেপ্তার ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষক নেতারা মেয়রের বিচার করা না হলে ক্লাস বর্জন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ পৌরসভার সচিব, নারী স্বাস্থ্যকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধাকেও মারপিট করেছে। তার ভয়ে কেউ মামলা করতে সাহস পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।