নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে হুজাইফা নামের ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. সোহাগ (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশু হুজাইফা চাওবন গ্রামের হারুন রসীদের ছেলে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অন্যদিকে, গ্রেপ্তার সোহাগ একই গ্রামের হরমু মেম্বারের ছেলে। গ্রেপ্তার সোহাগকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে শ্রীপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সোহাগ শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি স্বাভাবিকভাবে নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারেও সহায়তা করেন। এর আগে শনিবার প্রায় নয় ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর গভীর জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে সোহাগকে আটক করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, “শনিবার রাতে জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অপরাধের দায় স্বীকার করেছে।”
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ বলেন, শিশুটি ঘটনাটি মা–বাবাকে বলে দেবে এমন আশঙ্কায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।