শীতকালে বাধাকপি কেন খাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো বাঁধাকপি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পদের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই সবজি। এমনকি এর সালাদও সবার কাche জনপ্রিয়। বাঁধাকপির বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলেরেসিয়া।

বাঁধাকপিতে সালফোরাফেন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এতে আছে শর্করা, ফাইবার, চর্বি, আমিষ, থায়ামিন, রিবোফ্লেভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬।

আরও আছে প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফ্লুরাইড প্রভৃতি।

এতো পুষ্টিগুণের বাঁধাকপি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। বাঁধাকপি হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

এ ছাড়াও বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন কে হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাদের বার্ধক্যজনিত হাড়ের সমস্যার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

তবে জানা গেছে, বাঁধাকপি খেলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে! ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে ফিতাকৃমি বাস করে। এই ফিতাকৃমি শরীরে প্রবেশের পর পৌঁছাতে পারে মস্তিষ্কে। এই ফিতাকৃমির মাধ্যমে টেনাইসিস সংক্রমণ হয়ে থাকে৷

ভারতীয় পুষ্টিবিদ তথা ডায়েটিশিয়ান অনু সিনহা বলেছেন যে, বাঁধাকপিতে উপস্থিত টেপওয়ার্ম একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে থাকা ফিতাকৃমি শরীরে প্রবেশের পর ডিম পাড়ে।

একটি ফিতাকৃমির দৈর্ঘ্য ৩.৫-২৫ মিটার লম্বা হতে পারে৷ ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে ৷ যদিও এই কীটপতঙ্গ বা ফিতাকৃমি থেকে মুক্তির অনেক ওষুধ আছে৷ ওষুধে কাজ না হলে পরবর্তীতে অস্ত্রোপচার করতে হয়।

তাহলে বাঁধাকপি খাওয়ার উপায়?

বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, কাঁচা শাকসবজি খাওয়া টেপওয়ার্ম সংক্রমণের অন্যতম বড় কারণ। এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান-নিউট্রিশনিস্ট কবিতা দেবগন জানিয়েছেন, সবজিতে থাকা কীটগুলো এতোই ছোট যে এগুলো বাঁধাকপি বা ফুলকপির বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকে। তাই খালি চোখে দেখা যায় না।

তাই সংক্রমণ রোধে রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া কিংবা ৫ মিনিট সেদ্ধ করা। ফলে জীবাণু নষ্ট হয়ে যাবে।

তথ্যসূত্র: ডিবিপি নিউজ/টাইমস অব ইন্ডিয়া/ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।