লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক যেমন রুক্ষ্ম হয়ে ওঠে তেমনি পানি শূন্যতার অভাবে শরীরে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। তাই নিয়মিত শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি বিশেষ পানীয় খেতে হবে। আর এ পানীয় না খেলেই বিপদে পড়ার শঙ্কা রয়েছে, এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীতের সকালে খালি পেটে অবশ্যই যে বিশেষ পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা সেটি হলো ইসবগুল। মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুলের ভুসির ওপরই ভরসা রাখেন সবাই।
এ ছাড়া পুষ্টিবিদরা বলছেন, খালি পেটে শীতের সকালে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। যেমন নিয়মিত এ বিশেষ পানীয় খাওয়ার অভ্যাসে কয়েকটি রোগের প্রতিরোধী হিসেবে শরীরের রক্ষা কবচ তৈরি করে ইসবগুল।
এ ছাড়াও নিয়মিত ইসবগুল খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় তাহলো-
১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সৃষ্টি হয়। পাইলস রোগীদের সারা বছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল এক কাপ হালকা ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে খালি পেটে খেয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।
২। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত।
৩। ডায়রিয়া উপশমে: দিনে দুবার ৭ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া উপশম হয়। রোগীকে ইসবগুলের শরবত খাওয়ালে মিলবে উপকার। ডায়রিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা সবসময় ইসবগুলের শরবত খান।
৪। হজমে সাহায্য করে: হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দূর করতেও ইসবগুলের ভুসি দারুণ কাজ করে। ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিলেও ইসবগুলের শরবত কাজে আসে। পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেও রোজ সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারেন।
৫। আমাশয় থেকে রক্ষা করে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।