আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মুহসেন ফাখরিজাদে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে বিবৃতি দিয়েছেন।
এদিকে শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তাদের লজ্জাজনক দ্বিচারিতার অবসান ঘটানো এবং এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাকহাত একে নির্মম হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানান। একটি দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার জেরে আঞ্চলিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ারও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
ফাখরিজাদে হত্যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও একই কায়দায় ইরানের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করে মোসাদের এজেন্ট। তেহরানও ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে।
শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর তেহরান থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আবসার্দ শহরের ভয়াবহ হামলার শিকার হন মহসেন। প্রথমে তার গাড়িতে বোমা হামলা, এরপর মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে হামলায় মুহসেনের দেহরক্ষী এবং পরিবারের সদস্যরাও গুরুতর আহত হন।
পশ্চিমাদের নজরে ফখরিজাদেহ ছিলেন ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশনস বিভাগ জানায়, ফাখরিজাদে মন্ত্রণালয়ের অর্গানাইজেশন অব ডিফেন্স ইনোভেশন অ্যান্ড রিচার্সের (এসপিএনপি) প্রধান ছিলেন।
এক দশক ধরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানীদের ‘টার্গেট কিলিং’-এর জন্য অভিযুক্ত ইসরায়েল। নিজেরা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত করলেও ইরানের সেই সক্ষমতা অর্জনকে হুমকি হিসেবে দেখে দেশটি।
২০১০ থেকে ২০১২ এই দুই বছরে ইরানের চার শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের অভিযোগ, পশ্চিমাদের মদদে ইসরায়েলের গোপন ঘাতক বাহিনীই তাদের হত্যা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।