জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের মুর্শিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবার শরীফে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় জনতা। এসময় গুড়িয়ে দিয়েছে পীরের আস্তানা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে কয়েক হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা এ হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত দরবারটিতে হামলার পর গরু, মহিষ, ছাগল দুম্বা, পুকুরের মাছসহ সব মালামাল নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে দরবারে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ দরবারের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিলেও জনস্রোতে তারা টিকতে পারেনি।
দরবারের এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আজ প্রায় ১৫ কোটি টাকার মালামাল লুট হয়েছে। দরবারের গাছ পর্যন্ত কেটে নিয়ে গেছে লোকজন। তবে এ ঘটনায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই দোজা পীরের আস্তানা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে স্থানীয়রা। কিন্তু পীরের সেই আস্তানা বন্ধ না করে শরিয়ত পরিপন্থী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। গত ২৬ নভেম্বর ভোরে দোজা পীরের দরবারে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় জনতা ও দরবারের মুরীদদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দরবার বিরোধী পক্ষের হাফেজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ২৭ নভেম্বর সকালে মারা যান তিনি।
বুহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হাফেজ উদ্দিনের জানাজার নামাজ স্থানীয় জমশেদ আলী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে জেলার সব মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে জানাজায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই ডাকে সারা দিয়ে জেলার হাজারো ছাত্র ও তৌহিদী জনতা কলেজ মাঠে এসে উপস্থিত হন।
জানাজার নামাজে বক্তারা সবাইকে শান্ত থাকার এবং ধৈয্য ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা তাদের বক্তব্যে ২৭ তারিখ আহতদের মধ্যে যারা হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় আছেন, তাদের হ্যান্ডকাপ খুলে দেওয়ার দাবি জানান এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোজাপীরকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু সমবেত জনতা কিছুক্ষণের মধ্যেই লাঠিসোটা, দা, ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিকল্প সড়ক দিয়ে দরবার শরীফের গিয়ে হামলা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।