জুমবাংলা ডেস্ক : শেষবারের মতো মাকে দেখতে ভোর বেলায় স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন মেয়ে। সঙ্গে নিয়েছেন এক ননদকে। কিন্তু মৃত মায়ের মুখ দেখার আগেই নিজেই হলেন লাশ। সঙ্গে থাকা স্বামী প্রাণে বাঁচলেও প্রাণ প্রদীপ নিভে যায় ননদ রুনা আক্তারের।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুরে। তবে নিহত দুজনে গাজীপুরে পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গ্রিদারী গ্রামের মোটরসাইকেল চালক রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী নূপুর আক্তার এবং একই এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে রুনা আক্তার।
জানা যায়, এদিন মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে স্বামী রাকিবুল স্ত্রী নূপুর ও চাচাতো বোন রুনাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু ভবানীপুর এলাকার গ্যাস পাম্পের সামনে একটি ঘাতক ট্রাক কেড়ে নেয় তাদের প্রাণ।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম জানান, রাতে নূপুর আক্তারের মা মারা গেলে ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে নূপুর, রাকিবুল ইসলাম ও তার চাচাতো বোন রুনা আক্তার রওনা হন। শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের অমেরা গ্যাস পাম্পের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এ সময় পেছনে থাকা অজ্ঞাত একটি ট্রাকের চাকার নিচে গিয়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নূপুর আক্তার ও রুনা আক্তার নিহত হন।
এতে চালক রাকিবুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান এবং নিহতদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। ট্রাক চালক ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম।-ইউএনবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।