জুমবাংলা ডেস্ক : এক মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণের পর দ্বিগুণ মৃত্যুর রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়ালেও, উপসর্গসহ মৃত্যু হিসেব করলে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।
গত ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরুর পর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল এক বৃদ্ধ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরে ১১ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
এক মাস পর ৫ মে মৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ জন। আর আজ থেকে একমাস আগে ৮ জুন করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ১০০।
সংক্রমণ শুরুর প্রথম দুই মাসে মৃতের সংখ্যা ছিল একশ’র কাছাকাছি। তবে শুধু গত একমাসেই চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের, যা আগের মাসের দ্বিগুণ। গত ১৫ দিনে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জন করোনা রোগীর।
চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে জুন মাস ছিলো ভয়ংকর। এ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল থেকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পপতি, আলেম, কাস্টম কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষার্থী কারও নাম বাদ যায়নি।
তবে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বেশি হচ্ছে চট্টগ্রামে। নগরের বিভিন্ন হাসপাতাল, মৃত ব্যক্তিদের সৎকারকারী প্রতিষ্ঠান ও মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ নিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে চট্টগ্রামে। পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় এখন আর মৃত ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের সঠিক হিসেবও পাওয়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৪ জন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে চট্টগ্রামে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে মৃতদের দাফন-সৎকার করেছে তাদের সে হিসাব আরও অনেক বেশি।
তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘আগের চেয়ে চট্টগ্রামে ল্যাব বেড়েছে। নমুনা পরীক্ষাও বেড়েছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে হার কমে এসেছে। চট্টগ্রামে আক্রান্তের হার গত এক সপ্তাহ ধরে ২১ শতাংশ। এর আগে তা ছিল ২৭ শতাংশ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।