জুমবাংলা ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেন।
ঈদের নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন ঈদগাহে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার আগেই ঈদগাহ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথা অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে গান স্যালুট দেওয়া হয়। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ও শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নামাজের টুপি, মাস্ক এবং জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মুসল্লিদের সহায়তার জন্য প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে দায়িত্ব পালন করেছিল।
মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল।
২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মোট পাঁচ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দারা আনসার সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
জরুরি প্রয়োজনে ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি ফায়ারফাইটিং ইউনিট ২৪ ঘন্টা নিয়োজিত রয়েছে।
ঈদগাহটি নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জের হয়বতনগরের সাবেক দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে ওয়াকফ দলিলের মাধ্যমে ৪.৩৫ একর জমি দান করেছিলেন এবং বর্তমানে ঈদগাহটির আয়তন সাত একর।
প্রতি বছরই শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মানুষ প্রার্থনা করে এবং শান্তি ও সুখের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চায়।-ইউএনবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।