জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার কারণে গুলি খেতে হলে শাপলা চত্বরে বুক চিতিয়ে দেব। তবুও মানুষের অধিকার আদায়ের পথ থেকে সরে দাঁড়াব না।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, শুধু ঢাকা নয়- পুরো দেশে আজ ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকলে নির্ভয়ে দলবেঁধে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আমরা গণতন্ত্র ও নিজেদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে রয়েছি। এ আন্দলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্ত করবো। প্রয়োজনে রক্ত দেবো, জীবন দেব, তবুও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। গত ১৩ বছরে ক্ষমতাসীনরা দেশের অর্থনৈতিক খাতকে ধ্বংস করেছে। শেয়ার মার্কেট থেকে সাধারন মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। মানুষ সর্বহারা হয়ে দিনের পর দিন আন্দোলন করছে এবং আত্মহত্যার মত ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা চুরি করা হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। একটা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সোনা চুরি হয়ে যায়, কত বড় দুর্নীতিবাজ, কত বড় ডাকাত হলে এটা সম্ভব! যারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে তাদের পৃষ্টপোষকতায় সরাকরি ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে, জনগণের আমানত লুট করা হয়েছে। এভাবে জনগণের কষ্টে অর্জিত টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে আর তারপরও আমরা নিশ্চুপ হয়ে আছি।
এই সরকারে সময় ঘনিয়ে এসেছে উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার জাতি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশের স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল। আমরা কোন তাবেদারি মানব না, কারো জমিদারি মানব না। এই দেশটা কারো পারিবারিক সম্পত্তি না। রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছি, প্রয়োজনে আবার রক্ত দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। শাপলা চত্বরে দাঁড়িয়ে গুলি খাব। তারপরও সত্য এবং ন্যায়ের পথ থেকে সরে দাঁড়াব না।
মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইশরাক বলেন, জনগণ আজ জাগ্রত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক, জনগণ হবে দেশের মালিক, জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে, জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
প্রচারণায় মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এস এম জিলানী, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, শরিফ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।