বিয়ের ১৪ বছর নিঃসন্তান ছিলেন সাইফুল-শিল্পা দম্পতি। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য দৌড়েছেন দেশে-বিদেশে। ফল পেলেন অবশেষে। শিল্পার কোলজুড়ে এলো ফুটফুটে ছেলে। সন্তানের মুখ দেখলেন ঠিকই, কিন্তু ১১ দিনেই তাকে এতিম করে চলে গেলেন শিল্পা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শিল্পা মারা যান। এই ঘটনায় সাইফুল বাকরুদ্ধ।
সাইফুল রাজশাহী নগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকার বাসিন্দা এবং মডেল হাসপাতালের কর্মচারী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই শিল্পা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হন। এরপর ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। তখন করোনা পরীক্ষা করানো হয়। গত সোমবার তাঁর রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। এরপর তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল সকালে ১১ দিনের সন্তানকে একা রেখেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে শিল্পা। গতকাল দুপুরে জানাজা শেষে তাঁকে মেহেরচণ্ডী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভগ্ন হৃদয়ে সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সন্তানের জন্য স্ত্রীকে দেশের পাশাপাশি ভারতেও চিকিৎসা করিয়েছেন। অবশেষে সন্তানের মুখ দেখলেন। অথচ প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারাতে হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।