নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আজ প্রাণঘাতী ভাইরাসটির দেশে উপস্থিতির ৪৪তম দিন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যানুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম ১০০ জনে পৌছাতে সময় লাগে ২৮ দিন। কিন্তু এরপর ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার চেয়ে মৃতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ৪৪ দিনে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮২জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৭ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১১০জনের।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪৩৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৩৮২ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১০ জনে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, মহিলা চারজন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব তিনজন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৩, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের মধ্য আছেন ৩ জন।
এ পর্যন্ত ৮৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯৭৪ জনের। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৯৫৭৮ জন মানুষ করোনাভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। চব্বিশ ঘন্টায় ৮৯ জন নতুন করে আইসোলেশনে এসেছেন। ৭৬৫ জন এ পর্যন্ত আইসোলেশনে ছিলেন। ৫৭৯ জন আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।
গতকাল (২০ এপ্রিল) দুই বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসটি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘এপ্রিল মাসটি আমাদের জন্য একটু কষ্ট হবে। এ মাসে সাবধানে থাকতে হবে।’
ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ডা. রিদওয়ানুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে কত করোনা রোগী আছে তার হিসাব বের করতে হলে ১০-২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৭৬ দিনের মাথায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত পাওয়া যায় ৩২,১০৫ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্য ৬৭তম দিনে, ফ্রান্স ৬৬, জার্মানি ও স্পেনে ৬১, ইতালি ৫৩, ইরানে ৪২, এবং নেদারল্যান্ডসে ৩৮ তম দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের আক্রান্তের সব ধরণের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে ধারণা করা যেতে পারে যে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ কিংবা মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।