‘সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বাধ্য করা হবে’

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: দেশের উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে  জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন এবং এলাকায় মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘূর্ণিঝড়
প্রতীকী ছবি

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে বাড়িঘর ছেড়ে ৫ শতাধিক মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন।

বুলবুলের প্রভাবে জেলার কোথাও দমকা হাওয়া না বইলেও পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জোয়ারের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন জানান, তার ইউনিয়নে ২৫ হাজার লোকের বসবাস। বেরীবাধ দুর্বল থাকায় বেশির ভাগ এলাকার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্তত ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়ে নিরাপদে তাদেরকে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হয়েছে। করা হচ্ছে মাইকিং। শনিবার সকাল থেকে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে আমার ইউপি সদস্যরা, দফাদার ও চৌকিদাররা তাদেরকে নিয়ে আসার কাজ করছেন। কিছু কিছু মানুষ আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ৫ শতাধিক মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। সকলকেই নিয়ে আসা হবে। আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে যদি মানুষ না আসতে চায় তাহলে পুলিশ সদস্যদের সাহায্যে তাদেরকে বাধ্য করা হবে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লালুয়া ইউনিয়নসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। দুপুর ১২টার মধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকার বাসিন্দদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানান, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন ও মহিপুরের নিজামপুর এলাকা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য। কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে জনপ্রতিনিধিরা বলার পরেও তারা নিজ উদ্যোগে আসছেন না। তাই ওইসব এলাকার মানুষদের নিয়ে আসতে আমি পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ করেছি। যারা যাচ্ছেন না তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে বাধ্য করা হবে।

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *